৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহিদ দিবস পালন করা হবে। নিজস্ব চিত্র।
নেতাই দিবস পালনের কর্মসূচির কমিটি থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার নাম বাদ পড়ল। মঙ্গলবার লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহিদ দিবস পালন কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটিতে মন্ত্রী বিরবাহা থাকা সত্ত্বেও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি, সে কারণেই ওই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে দাবি।
কমিটির সভাপতি নন্ত অধিকারীর সই করা নির্দেশনামা রয়েছে। মঙ্গলবার কমিটির বৈঠকে ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবস পালন সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও নেতাইয়ের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি নন্তু অধিকারী বলেন, ‘‘নেতাইয়ে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারির ঘটনার পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে লাল মাটি পেরিয়ে এসেছিলেন। নেতাইয়ের ঘটনা নিয়ে মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যে নেতা সাক্ষীদের নিয়ে যেতেন, তাঁকে দল থেকে বসিয়ে দেওয়ায় এখন সমস্যা হচ্ছে। দল থেকে কোনও নেতা আর আসেন না খোঁজখবর নিতে। দুঃখপ্রকাশ করেই আজ (মঙ্গলবার) কমিটির মিটিংয়ে উপদেষ্টা পদ থেকে বিরবাহা হাঁসদাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, নেতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম নেতা রথীন দন্দপাঠের বাড়ি থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় ৪ মহিলা-সহ ৯ জন মারা যান। আহত হন ২৮ জন। ওই ঘটনায় একমাত্র মহিলা বন্দী ফুল্লোরা মণ্ডল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো বলেন, ‘‘নেতাইয়ের আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দল রয়েছে। মামলা থেকে শুরু করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। তার পরেও কারও কিছু মনে হলে কিছু করার নেই। ওই কমিটিতে স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন। সেখানে কাকে রাখবেন আর কাকে বাদ দেবেন, সেটা ওঁদের বিষয়।’’