প্রতীকী ছবি।
তফসিলি জনজাতির শংসাপত্র নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু এবং বিরবাহা হাঁসদা। আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেখানে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি প্রথমে অভিযোগ করেন, তফসিলি জনজাতিভুক্ত না হয়েও অনেকে ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা তখন সংযোজন করেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে বেশ কিছু তথ্য এবং নথি আছে। সেগুলি দেখিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে এর প্রতিকার দরকার। কেশিয়াড়ি এবং বান্দোয়ানের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ মুর্মু এবং রাজীবলোচন সরেনও সন্ধ্যারানি এবং বিরবাহার তোলা অভিযোগকে সমর্থন জানান। সূত্রের আরও খবর, সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব তখন বলেন, নথিগুলি তাঁর কাছে দেওয়া হলে তিনি ভুয়ো শংসাপত্রগুলি বাতিল করে দেবেন। তখন অবশ্য বিরবাহা বলেন, তাঁর কথার ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিয়ে সচিব যেন তদন্ত করে দেখে নেন।
পরে বিরবাহা বলেন, ‘‘আমার কাছে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে যে সব অভিযোগ এসেছিল, আজকের বৈঠকে সেগুলি জানিয়েছি।’’
সূত্রের আরও খবর, এ দিনের বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জমির পাট্টার বিষয়ে সরব হন। তিনি বলেন, শুধু জয় জহর এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আদিবাসীদের সব সমস্যা মিটবে না। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল দরকার। বৈঠকে মনোজ আরও বলেন, অলিম্পিকে মেয়েদের যে হকি টিম দারুণ খেলেছে, তার অনেকেই আদিবাসী। সুতরাং, আদিবাসী এলাকায় খেলাধুলোর উন্নতির জন্য সরকারি উদ্যোগ বাড়ানো দরকার। পরে মনোজ বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে ভুয়ো জনজাতি শংসাপত্র কিনে যে সুযোগ-সুবিধা নেওয়া হচ্ছে, সেটা বৈঠকে বলব বলে ভেবে গিয়েছিলাম। পরে আর বলার দরকার হল না। কারণ খোদ সরকারের মন্ত্রীরাই সেই অভিযোগ তুললেন।’’