বিনয় মিশ্র। —ফাইল চিত্র।
তিনি আর ভারতের নাগরিক নন বলে আদালতে দাবি করেছেন কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। আদালতে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালেই তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করে প্রশান্ত মহাসাগরের ভানাটু দ্বীপে বসবাস করছেন। কিন্তু বিনয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সিবিআই সম্প্রতি দেখেছে, দেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশের কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা সরানো হয়েছে। বিদেশের যে-সব অ্যাকাউন্টে টাকা সরানো হয়েছে, সিবিআইয়ের দাবি অনুযায়ী সেগুলি বিনয়-ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী এবং বিনয়ের কয়েক জন আত্মীয়ের। তদন্তকারীদের অভিযোগ, পলায়নের পরে এ দেশে তাঁর যে-টাকা ছিল, তার পুরোটাই বিদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিনয়। সিবিআইয়ের দাবি, ভারতের যে-সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে টাকা সরানো হয়েছে, সেগুলির বেশির ভাগই ভুয়ো। সম্প্রতি এই ধরনের ৪৫ থেকে ৫০টি ‘সেল’ অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি ওই সব অ্যাকাউন্টে লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। সপ্তাহখানেক আগে বিনয়-ঘনিষ্ঠ এক হিসাবরক্ষকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের অনুমান, কয়লা ও গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা ওই সব ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে বিনয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও ব্যবসায়ীদের নামে বিদেশের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বিনয়। দেশের কিছু ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে সেই সব বিদেশি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই তাঁর কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সিবিআই ও ইডি-র তদন্তকারীদের বক্তব্য, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ায় বিনয় ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ঘটনার সত্যতা উঠে আসা সম্ভব নয়। তাই তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ব্যাপারে অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।