লালবিহারীর স্মরণে বিমান

১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক ছিলেন লালবিহারী ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বড়জোড়া শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৪
Share:

বক্তা: বড়জোড়ার দধিমুখা হাইস্কুলের ফুটবল মাঠে। নিজস্ব িচত্র

প্রয়াত সতীর্থের স্মরণসভায় বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। গত ১৫ অগস্ট, ৮১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় বড়জোড়ার প্রাক্তন বাম বিধায়ক লালবিহারী ভট্টাচার্যের। রবিবার বড়জোড়ার দধিমুখা হাইস্কুলের ফুটবল মাঠের সভায় এসে বিমানবাবু বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুব খারাপ। আর তার থেকে নজর ঘোরাতে নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলা হচ্ছে। এ দিকে আবার ‘দিদিকে বলো’ প্রোগ্রাম হচ্ছে, আর ছাত্রযুবরা ন্যায্য দাবির কথা বলতে গেলে পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। দুই সরকারের বিরুদ্ধেই বামপন্থীরা লড়াই করবে।’’

Advertisement

১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক ছিলেন লালবিহারী ভট্টাচার্য। এ দিন দলের বেলিয়াতোড় এরিয়া কমিটি তাঁর স্মরণসভার আয়োজন করেছিল। ডাকা হয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। বিমান বসু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। এসেছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত। তৃণমূলও প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরীর দাবি, কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ প্রাক্তন বিধায়কের স্মরণে এসেছিলেন।

সভা থেকে বিমানবাবু এনআরসি, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ-সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। নীলমাধব গুপ্ত বলেন, ‘‘লালবিহারীবাবুর জনসংযোগ ছিল প্রশংসনীয়।’’ তৃণমূলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ও এ দিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ ছিল। ওঁর ব্যবহার মুগ্ধ করত।’’

Advertisement

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র সভায় বলেন, ‘‘লালবিহারীবাবুর স্মৃতিতে তখনই সঠিক শ্রদ্ধা নিবেদন হবে, যখন কৃষক ও সাধারণ মানুষের উপরে হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারব। লালবিহারীবাবু সে কথাই শিখিয়ে গিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement