প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ট্রেনের ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা ছিল। —ফাইল চিত্র।
ময়নাগুড়িকে রেল দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, ট্রেনের ইঞ্জিনে কিছু সমস্যা ছিল। ট্র্যাকশন মোটর ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ট্রেনের সহকারী-চালকের বক্তব্যেও তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।
সহকারী চালক প্রদীপ কুমার বলেন, ‘‘আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। প্রথমে ঝাঁকুনি বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই ইমার্জেন্সি ব্রেক কষি। পরে বুঝলাম, লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। কী কারণে হল, এখনও জানি না। তদন্ত হলেই বোঝা যাবে। বোধহয় ট্র্যাকশন মোটর ভেঙেই এই দুর্ঘটনা। সিআরএসএ-র তরফে তদন্ত হবে নিশ্চয়ই।’’
জানা গিয়েছে, আপ বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ছিল ওয়াপ ফোর ক্যাটেগরির। এতে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর থাকে। ওই মোটরের কাজ হল এটি ইঞ্জিনের চাকাকে রেল লাইনে ধরে রাখতে ও চাকাকে ঘোরাতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি বিষয়। জানা গিয়েছে, ৪২/১ নম্বর পিলার থেকে দুর্ঘটনার সূত্রপাত। সেখান থেকেই রেললাইনের মাঝে থাকা কংক্রিটের স্লিপার ভাঙতে শুরু করে। এর পরই লাইনচ্যুত হতে শুরু করে একের পর এক বগি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “আমি নিজে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে যে যন্ত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি সংগ্রহ করে ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে। এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছতে পারি না। লোকো পাইলটের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শিকড়ে গিয়ে তদন্ত প্রয়োজন।’’