—নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয়ে বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। তার জেরে বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নেমে আসায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে ড্র্যাগন লাইট।
রেল আধিকারিকের এক সূত্র জানান, দ্রুত পদক্ষেপ করেই উদ্ধারকার্যে নামা হয়েছে। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এর পরেই কোচবিহার পুলিশের তরফে উদ্ধারকাজ চালাতে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে দড়ি আর ড্র্যাগন লাইট।
উদ্ধারকার্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২০ জন পুলিশকর্মীর একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত এসপি। ৫০০ ফুড-প্যাকেট আর জলের বোতল নিয়ে যাচ্ছেন মেখলিগঞ্জের ওসি-ও।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৫১টি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকেই ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তুতির।
পটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনমচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনও জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে য়াচ্ছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।’’