—ফাইল চিত্র ।
ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে ন’দিন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ওই ঘটনায় এনআইয়ের দায়ের করা মামলা পুলিশ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে। ঘটনার দিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ির যে কাচ গ্রামবাসী ভাঙচুর করেছিল বলে অভিযোগ, তার নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার সংগ্রহ করবে পুলিশ। আজ, সোমবারই পুলিশ নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিতে পারে কবে তারা নমুনা সংগ্রহের জন্য এনআইএ দফতরে যাবে। নতুন করে আরও ছ’জন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সোমবার ডেকে পাঠিয়েছে।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে গত ৬ এপ্রিল নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়েন এনআইএ-র আধিকারিকেরা। ঘটনায় প্রথমে এনআইএ-র পক্ষ থেকে ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে এনআইএ-র হাতে ধৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি মনোব্রত জানার স্ত্রী মণি জানা এনআইএ আধিকারিক এবং সিআরপিএফের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর এবং সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ করেন। দু’টি ঘটনাতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এনআইএ আধিকারিকদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে হাই কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছে। আপাতত তাই এনআইএ-র দায়ের করা মামলাটির দ্রুত শেষ করতে চাইছে পুলিশ।
ঘটনার দিনের ‘ফুটেজ’ পুলিশ এনআইএ-র কাছে চেয়েছিল। সেই মতো শনিবার এনআইএ বেশ কিছু ‘ভিডিয়ো ফুটেজ’ ই-মেলে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে। যেদিন এনআইএ-র তদন্তকারীরা নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিলেন, সেখানে মনোব্রতের বাড়ির সামনে কী ভাবে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এবং তাঁদের কী ভূমিকা ছিল সেই সংক্রান্ত বিষয় ‘ফুটেজ’ পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। রবিবার থেকে ওই সব ‘ভিডিয়ো ফুটেজ’ পুলিশ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় পুলিশ আগে তিন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সোমবার ফের ছ’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলছেন, ‘‘নিয়ম মেনেই সব তদন্ত হচ্ছে।’’
এমন আবহে রবিবার নাড়ুয়াবিলার অদূরে বরজ এলাকায় লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। বিকেলে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বরজে একটি মিছিল করেন দলীয় কর্মীরা। সেখানে প্রার্থী সৌমেন্দু ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি ছিলেন। যাতে এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তি না হয়, সে জন্য মিছিল শুরুর আগে থেকেই বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন ছিল।