—ফাইল চিত্র।
ভাটপাড়ায় হিংসায় সিবিআই তদন্ত চাইল বিজেপি। রাজ্য প্রশাসনে অনাস্থা জানিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের এই দাবিতে রাজনৈতিক মহলে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মোদী-শাহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের এই দাবিতে চাপ তৈরির কৌশল দেখছে রাজনৈতিক মহল।
ভাটপাড়ায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তা সামনে রেখে শুক্রবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন অর্জুন। এই দাবির সমর্থনে তাঁর যুক্তি, ‘‘ভাটপাড়ায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। তাই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারবে না। স্থানীয় মানুষ চাইছেন, সিবিআই দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’ এদিকে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দিতে হবে। এই অভিযোগে এদিন কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির মহিলা ও যুব শাখা।
এদিকে, ভোটে ধাক্কার পরে ব্যারাকপুরসহ জেলার পাঁচ লোকসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্ব এদিন ভাগ করে দিয়েছে তৃণমূল। ব্যারাকপুরের দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা দলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁর সঙ্গে দলের স্থানীয় বিধায়কদেরও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দমদম লোকসভা আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক তাপস রায়কে। বসিরহাট, বনগাঁ ও বারাসতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুজিত বসু, গোবিন্দ দাস এবং রথীন ঘোষকে। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জেলা দলের এক নেতা বলেন, ‘‘দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকই তবে জেলার সাংগঠনিক কাজ সকলে মিলেই করব।’’
গত দু’দিন ধরে ভাটপাড়ায় যে অশান্তি চলছে, তা নিয়ে সোমবার বৈঠক করবেন জেলা দলের নেতারা। অন্যদিকে ভাটপাড়া সহ গোটা এলাকায় অশান্তির জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস ও বামেরা। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে সর্বদল বৈঠক ডাকা প্রয়োজন। আজ শনিবার পরিষদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ওই অঞ্চলে হিংসায় মৃতদের বাড়িতে যাবেন মান্নান ও সুজন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।