ফাইল চিত্র।নি
কলকাতা হাই কোর্ট বগটুই গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ন’জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার তদন্ত করার জন্য সিবিআই-কে যে-নির্দেশ দিয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ ছিল না। ভাদু-হত্যার তদন্তের দায়িত্বও সিবিআই-কে দেওয়ার জন্য এ বার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে আবেদন জানালেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। প্রীতি কর নামে এক আইনজীবী বগটুই কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর কৌঁসুলি হয়ে সওয়াল করেছেন কৌস্তুভবাবু। সোমবার হাই কোর্টে ওই আইনজীবী আর্জি জানান, সংশ্লিষ্ট নির্দেশনামায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ভাদু-হত্যার বিষয়েও সিবিআই-কে তদন্ত করতে বলা হোক।
বগটুই কাণ্ডে ন’জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাত সঁপেছে আদালত। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভাদু খুনের তদন্তের উল্লেখ না-থাকায় সিবিআই সরাসরি সেই ঘটনার ব্যাপারে কোনও অনুসন্ধান করছে না। যদিও বগটুইয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনার তদন্তের মধ্যে অবধারিত ভাবে উঠে আসছে ভাদু খুনের প্রসঙ্গ। কারণ, ভাদু খুনের জেরেই পুরো কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ। প্রীতিদেবীর আইনজীবী কৌস্তুভবাবুর যুক্তি, ভাদু খুনের প্রতিশোধ নিতেই ন’জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। তাই দু’টি ঘটনাকে পৃথক করে দেখা চলে না। আর সেই জন্যই ভাদুর খুনের তদন্ত করা উচিত সিবিআইয়েরই। কোর্ট এ দিন নির্দেশ দিয়েছে, ওই সংশোধনীর জন্য পৃথক ভাবে একটি আবেদন জমা দিতে হবে। কৌস্তুভবাবু বিকেলে জানান, তিনি এ দিনেই সেই আবেদন কোর্টে জমা দিয়েছেন। উচ্চ আদালত সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবীরা বার বার রামপুরহাটের ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। অবৈধ বালি খাদান ও বালি পাচারের ঘটনার সঙ্গে খুনের অভিযোগও উঠেছে। বিরোধী দলের নেতারাও প্রকাশ্যে এই ধরনের অবৈধ কারবারের কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকের ধারণা, যদি সিবিআই ভাদু-হত্যারও তদন্তভার পায়, তা হলে এই ঘটনায় বালি পাচারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে পারে। কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তাতে নাম জড়িয়েছে বীরভূমেরও।