—ফাইল চিত্র
এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া আসলে আগুনের পথ পেরনো। অসমের বাঙালি তার ভুক্তভোগী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদের প্রয়োজন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই অভিমত জানালেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য। শনিবার শহরে এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, ‘‘তথ্য প্রমাণের নামে দিনের পর দিন কী হেনস্থা চলছে, তা আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে জানি। বাংলার মানুষ তা শুনেছেন।’’
অসমের খসড়া নাগরিক পঞ্জি থেকে তপোধীরবাবু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ গিয়েছিল। চূড়ান্ত তালিকাতে তাঁর নাম থাকলেও পরিবারের সকলের নাম নেই। তালিকায় নাম না থাকাদের যে সব ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, সেখানকার বিষয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘দেখা করতে গেলে ঢুকতে দেয় না। জিনিসপত্র নিয়ে গেলে পরিজনদের বলা হয় রেখে যেতে, দেখা হবে না।’’
‘এনআরসি: একটি বাঙালি মৃগয়া প্রকল্প’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার সুর বেঁধে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে বিজেপি বাঙালি শিকারের লক্ষ্যে এনআরসি বন্দুক তাক করেছে।’’ দমদম বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত এই সভার সঞ্চালক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি এখন স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রবর্তী বাঙালিকে মুছে ফেলতে চাইছে।’’ আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আইএসআইয়ের শিক্ষক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ও।