এ বারও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির রাজপথে দেখা যাবে না বাংলার ট্যাবলো।
এ বারও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির রাজপথে দেখা যাবে না বাংলার ট্যাবলো। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষের কথা বিবেচনা করেই এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী এক সঙ্গে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এই বিষয়টি নজরে রেখেই ট্যাবলো পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তা বাতিল হওয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল তৃণমূল।
এ বছর কেন্দ্র আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের থিমের নাম ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ-ও জানা গিয়েছে যে, নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখন থেকে প্রতি বছরই ২৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু হবে। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’।
ওই ট্যাবলো বাতিল হওয়ার পর টুইটারে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় লেখেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির ট্যাবলো বাদ দিয়ে নেতাজির নেতৃত্বে আইএনএ-এর লড়াইকে খাটো করল কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজির জন্মদিবসকে এখন থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পণ্ডিতরা ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের পুনর্লিখন করলেন। লজ্জা!’
প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ নিয়ে বরাবরই উৎসাহ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বার বাছাই কমিটিকে রবীন্দ্রনাথের ট্যাবলোর সঙ্গে ‘নীল দিগন্তে’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর বাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে মমতার প্রস্তাবে আপত্তি তোলা হলেও পরে তা মেনে নিয়েছিল বাছাই কমিটি। মমতা-আমলেই বাংলার ছৌ নাচ প্রথম ট্যাবলো পুরস্কারও পায়।
কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরও কেন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার ট্যাবলো বাতিল করা হল, তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি।
এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘গত বার যখন বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, তখনও কোনও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। এ বারও তাই হল। কেন বাংলাকে বার বার বঞ্চিত করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে আমরা সংসদেও সোচ্চার হয়েছিলাম। আবারও প্রতিবাদ জানাব। এ ছাড়াও দলীয় স্তরে প্রতিবাদ তো চলবেই।’’