Moloy Ghatak

Bengal Election: টানা ৩ বারের পূর্ণমন্ত্রী, হ্যাটট্রিকের পর মমতাকে কৃতজ্ঞতা জানালেন মলয় ঘটক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে টানা ৩ বারের পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন মলয় ঘটক। পেয়েছেন আইনের সঙ্গে পূর্ত দফতরের বাড়তি দায়িত্বও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২১ ২৩:৪২
Share:

মঙ্গলবার আসানসোলে ফুলের তোড়া দিয়ে মলয় ঘটককে বরণ করেন তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক। —নিজস্ব চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মতোই হ্যাটট্রিক করেছেন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটক। মমতার শাসনকালে টানা ৩ বারের পূর্ণমন্ত্রী। পেয়েছেন আইনের সঙ্গে পূর্ত দফতরের বাড়তি দায়িত্বও। পশ্চিম বর্ধমান জেলার একমাত্র মন্ত্রী মলয় তাই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে কৃতজ্ঞ। মলয় জানিয়েছেন, ‘দিদি’ তাঁর উপর ফের আস্থা রাখায় তিনি কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার আসানসোলে পা রাখতে মলয়কে নিয়ে উৎসবে মেতেছেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা।

সোমবার আইন এবং পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মলয়। এর পর মঙ্গলবার সকালে আসানসোলে নিজের বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন সহধর্মিনী সুদেষ্ণা ঘটক। মলয়কে ঘিরে উৎসবে মাতেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দলীয় কর্মীরা-সমর্থকেরা। বাজি ফাটিয়ে, আবির খেলে, মিষ্টিমুখ করিয়ে মলয়ের জয়কে উদ্‌যাপন করেন তাঁরা। তবে তাঁর মন্ত্রিত্ব নিয়ে এই উৎসবের মাঝেও দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি মলয়। তিনি বলেন, “দিদি আমার ওপর ফের যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। মানুষের পাশে কী ভাবে সারা দিন থাকতে হয়, এটা দিদির কাছ থেকেই প্রথম দিন থেকে শিখেছি।”

তৃণমূলের সঙ্গে কার্যত নাড়ির টান মলয়ের। দলের জন্মলগ্ন থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আসানসোল এবং দুুর্গাপুরকে নিয়ে পৃথক জেলা পশ্চিম বর্ধমান গঠিত হয়। তৈরি হয় নতুন পুলিশ কমিশনারেটও। একই সঙ্গে, আসানসোল মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালও আধুনিক রূপ পেয়েছে। উন্নত করা হয়েছে জেলা এবং ইএসআই হাসপাতালের পরিকাঠামো। আসানসোলে তৈরি হয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। আইনমন্ত্রী হিসেবে মলয়ের উদ্যোগেই আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালত ও ৬টি জেলাকে নিয়ে সিবিআই আদালত হয়েছে। শ্রম দফতরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি অফিসও তৈরি হয়েছে আসানসোলে। কনজিউমার ফোরাম, সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে আসানসোলে হয়েছে।

Advertisement

তৃতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার পর আসানসোল ও জেলার মানুষের আশা, মলয়ের হাত ধরেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement