অশান্তি জেলায়, অভিযুক্ত তৃণমূল, বিরোধীরাও

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে আবার তৃণমূলের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে সাহেবগঞ্জ পঞ্চায়েতের শালকুনি গ্রামে গোলমাল বাধে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০২
Share:

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শুরু হতেই বিভিন্ন জেলায় ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বাম ও বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে আবার তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বুধবার রাতে তমলুকের কিসমত রানিচক গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রার্থী নিরঞ্জন আদকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাড়ি ছিলাম না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে আমার স্ত্রী’র গলায় ছুরি ঠেকিয়ে হুমকি দেয় তৃণমূলের ছেলেরা।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ দিন সকালে চকইসমাইলপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা ত্রিপাঠীর স্বামী সিদ্ধার্থকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিতেই হামলা। সিদ্ধার্থকে মেদিনীপুরে মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূলের দাঁতন ১ ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের সেই দিন আসেনি যে দাঁতনে হামলা চালাতে হবে।’’

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, সবংয়ে হরিপুরা আসনের দলীয় প্রার্থী সুভাষ ঘোষের বাড়িতে চড়াও হয় সাত যুবক। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী লুৎফর রহমান। বাড়িতে ঢুকে সিপিএম প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী লুৎফরের দাবি, “আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

বুধবার রাতে হুগলির দাদপুরে পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী নারায়ণ হাঁসদাকে মারধর করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তারকেশ্বরে সিপিএমের জেলা পরিষদের প্রার্থী তন্ময় জানার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের কুল্টিরোড কামারপাড়া আসনের বিজেপি প্রার্থী সোনালি কুণ্ডুও তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বিরোধীরা দিশাহারা হয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে আবার তৃণমূলের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে সাহেবগঞ্জ পঞ্চায়েতের শালকুনি গ্রামে গোলমাল বাধে। ভাতারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরার অভিযোগ, ‘‘আমাদের লোকজনের উপরে সিপিএম হামলা চালিয়েছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘বাইক-বাহিনী ভয় দেখাতে গিয়েছিল। গ্রামবাসী প্রতিরোধ করায় পালিয়েছে তারা।”

মুর্শিদাবাদে আবার অভিযোগ, সিপিএমের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে বুধবার রাতে পাইকপাড়া এবং চণ্ডীপুর গ্রামে হাজির হয়েছিলেন সিভিক পুলিশ এবং স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার অবশ্য বলছেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ গ্রামে ঢুকেছিল। অস্ত্র-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ যদিও তৃণমূলের লালগোলা ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পুলিশ গ্রামে এলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement