ত্রাস: বোলপুর প্রশাসনিক ভবনের বাইরেই সশস্ত্র বাহিনী। বাইকে তৃণমূলের পতাকা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
অতিরিক্ত সময় খেলতে হবে জেনে সকালেই মাঠে নেমেছিল তৃণমূলের বাহিনী। আগের রাতে ঘোষণা সত্ত্বেও মনোনয়ন জমা আর হবে না জেনে তা-ই বদলে গেল বিরিয়ানি উৎসবে!
মঙ্গলবার বেলা ১০টার মধ্যেই বোলপুরে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে এসে হাজির ৫০-৬০টি মোটরবাইক। প্রতিটিতে সওয়ার টাঙ্গি, তলোয়ার, তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে দু’তিন জন। বীরভূমে জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের ৪১টিতে এবং ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৪টিতে ভোটই হচ্ছে না। তবু কেন এত লম্ফঝম্প? দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাখ্যা, ‘‘ওরা সব গ্রামের মানুষ। গ্রামে তো অস্ত্রে শান দেওয়ার মেশিন নেই। তাই বোলপুরে শান দিতে এনেছিল।’’
মুর্শিদাবাদে গোটা মনোনয়ন পর্ব জুড়েই চলেছে মারধর, অস্ত্র হাতে তাণ্ডব। এ দিনও কান্দি থেকে নওদা, পাহারাদারেরা খাড়া ছিল। সকালেই এক দল লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, অন্যেরা যাতে মনোনয়নের কাগজ তোলার সুযোগই না পান। আর এক দল ‘পাহারা’ দিচ্ছিলেন। বিরোধীরা কাছে ঘেঁষতেই পারেননি।
আরও পড়ুন:
১২ ঘণ্টাতেই ডিগবাজি
নগ্ন করে নিগ্রহ চিত্র-সাংবাদিককে
বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ জানা গেল, আর মনোনয়ন নেওয়া হবে না। মুহূর্তে সতর্কতা বদলে গেল বিজয় উল্লাসে। প্রশাসনের অফিস থেকে লাইন ছটফটিয়ে চলে গেল দোকানে। দেদার উড়ল বিরিয়ানির প্যাকেট। জিয়াগঞ্জের এক টিএমসিপি নেতা তিন-চারশো লোক নিয়ে হাজির ছিলেন লালবাগে। ‘কাজের শেষে’ তাঁরাও চকবাজারের কাছে বিরিয়ানির খুশবুতে মাতলেন। তৃণমূল অফিসে এক ডজন খাসি কিনে রাখা আছে বলে রটেছিল। কিন্তু পরে পাতে পড়ে ডিম ভাত। তাড়াহুড়োয়
মাংস-ভাতের দাবি নেতারা আর মেটাতে পারেননি।