প্রদেশ কংগ্রেস প্রতিনিধিদের বৈঠকে এআইসিসি নেতারা। সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে। নিজস্ব চিত্র।
ফের রাহুল গান্ধীকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হল বাংলার প্রদেশ কংগ্রেসেও। প্রায় আধ ডজন রাজ্যের কংগ্রেস ইতিমধ্যে এই মর্মে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যদিও স্বয়ং রাহুল সভাপতির পদের জন্য আগ্রহী নন। বরং, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কেরলের শশী তারুর ও রাজস্থানের অশোক গহলৌতের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু বহু রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বই এখনও মনে করছেন, গান্ধী পরিবার ছাড়া দলকে এক সূত্রে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। বাংলার কংগ্রেসও হেঁটেছে সেই পথেই।
সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (পিসিসি) প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে রাহুলকে সর্বভারতীয় সভাপতি করার দাবি করে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী। প্রস্তাব আনতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, ধর্মনিরপক্ষতা ও সাংবিধানিক কাঠামো রক্ষা করার জন্য রাহুলই জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার উপযুক্ত বলে তাঁরা মনে করেন। সর্বসম্মতিক্রমেই ওই প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে।
তার আগে আর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রথামাফিক প্রদেশ সভাপতি, রাজ্য থেকে এআইসিসি সদস্য এবং প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারীদের বেছে নেওয়ার ভার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন বর্ষীয়ান নেতা দেবপ্রসাদ রায়, সমর্থন করেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। তখন উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক এ চেল্লা কুমার, এআইসিসি-র পিআরও সৈয়দ নাসির হুসেন, এপিআরও কেশর সিংহেরা। শুরুতে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র তাৎপর্য নিয়েও আলোচনা করেন এআইসিসি নেতারা। প্রদেশ সভাপতি সংক্রান্ত প্রস্তাব হয়ে যাওয়ার পরে নিয়ম মেনে সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান এআইসিসি নেতারা, রাহুল সংক্রান্ত প্রস্তাবের সময়ে তাঁরা ছিলেন না। পরে বিধান ভবনে অধীরবাবু বলেন, ‘‘আমরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীকেই ফের সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি চেয়ে প্রস্তাব পাশ করেছি সর্বসম্মতিক্রমে। এআইসিসি-র প্রতিনিধিরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা তখন ছিলেন না। প্রদেশ সভাপতি এবং পদাধিকারী বেছে নেওয়ার ভার সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও পাশ হয়েছে সর্বসম্মতিতে।’’