পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে মঙ্গলবার রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার। — ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় স্তরে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র পাশাপাশি বাংলায় চলছে কংগ্রেসের পদযাত্রা। বাংলার কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত করতে এ রাজ্যে তাঁকে আসার আর্জি ফের জানানো হল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। পদযাত্রা বা কোনও কর্মসূচির জন্য তিনি এলেও ভোটের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাজ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদেরই করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল।
পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে মঙ্গলবার রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার। যে রাজ্য দিয়ে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যাচ্ছে না, সেখানকার নেতা-কর্মীরা পালা করে কোনও না কোনও জায়গায় ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করছেন। এই পর্বে শুভঙ্করের সঙ্গে আছেন মানস সরকার, তাপস চৌধুরী, জিশান আহমেদেরা। স্থায়ী পদযাত্রী দলে এ রাজ্যের কিরণ ছেত্রী, পূজা পরাজিতা রায়চৌধুরীরাও আছেন। বিজেপি সরকারের বিভাজনের রাজনীতি ও বেহাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে রাহুলের পদযাত্রা গোটা দেশে যে সাড়া ফেলেছে, সে কথা তাঁকে বলেছেন শুভঙ্কর। তাঁর দাবি, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করতে গিয়ে ভোটের অঙ্ক করছেন না, এমনই বুঝিয়েছেন রাহুল। শুভঙ্করের কথায়, ‘‘রাস্তাই রাস্তা দেখাবে, বাংলার কবির এই বাক্য রাহুল কাজে করে দেখাচ্ছেন! বাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি অবহিত। এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শেষ হলে তাঁকে বাংলায় আসার অনুরোধ জানিয়েছি।’’ বড় কোনও নির্বাচন এলেই কংগ্রেস কার সঙ্গে জোট করবে, সেই প্রশ্ন সামনে আসে। যখন যেমন, তখন তেমন না করে দলের পন্থা (লাইন) নির্ধারণ করার জন্য তিনি রাহুলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও শুভঙ্করের দাবি। এর আগে বাংলা থেকে ঋজু ঘোষাল, সৌরভ প্রসাদেরাও রাহুলের সঙ্গে হাঁটতে গিয়ে এ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে এসেছিলেন। চণ্ডীগড়ে রাহুলের যাত্রায় শরিক হয়েছিলেন এ রাজ্যের রুকসানা বেগমও।