প্রতীকী ছবি।
বাংলার মাটিতে সংগঠনের হাল যেমনই হোক, সামাজিক মাধ্যমে এখন প্রবল সক্রিয় বিজেপি। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের বক্তব্য প্রতিনিয়ত বহু মানুযের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তারা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, এই প্রচারের অধিকাংশই মনগড়া এবং বিকৃত তথ্য। যা আরও বেড়েছে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরে। গেরুয়া শিবিরের এই ‘বিকৃত প্রচারে’র মোকাবিলায় এ বার ডিজিটাল মাধ্যমে ‘প্রকৃত তথ্য’ তুলে ধরতে বিশেষ অভিযানে নামল প্রদেশ কংগ্রেস।
স্বাধীনতার আন্দোলনের সময়ে আরএসএসের ভূমিকা কী ছিল? দেশভাগের পরে হিন্দু মহাসভা কী ভূমিকা নিয়েছিল? কেমনই বা ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা? শ্রীনগরের লালচকে ঐতিহাসিক জনসভায় কী বলেছিলেন জওহরলাল নেহরু? এমনই টুকরো টুকরো ইতিহাস তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে সঙ্ঘ-বিজেপির প্রচারের মোকাবিলা শুরু করল বাংলার কংগ্রেস। বিধান ভবনে দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মশালায় সব জেলা কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটরদের ডেকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু ইতিহাসই নয়, বর্তমানে দেশে ও রাজ্যে এখন কী ঘটছে, তা-ও নিয়ে যাওয়া হবে সামাজিক মাধ্যমে।
কঠিন পরিস্থিতিতে ‘টিম’ হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান মিতা চক্রবর্তী। কর্মশালায় ছিলেন কমিউনিকেশন শাখার চেয়ারম্যান অমিতাভ চক্রবর্তীও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিকৃত এবং মনগড়া তথ্য সাজিয়ে বিশেষ করে যুব সমাজকে প্রভাবিত করে ফেলছে সঙ্ঘ ও বিজেপি। আমরা প্রকৃত তথ্য মানুষকে জানাতে চাই। এখন তার উপযুক্ত জায়গা সামাজিক মাধ্যমই।’’