কয়লা কাণ্ডে আন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
ফের তলব করা হল কয়লা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে। এই নিয়ে চতুর্থবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন লালা। আগামিকাল, বৃহস্পতিবারই তাকে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর আগে লালাকে তিন বার জেরা করা হলেও সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাই চতুর্থবার তলব করা হয়েছে তাঁকে।
যদিও লালা ফের সুপ্রিম কোর্টের ‘রক্ষাকবচ’ পেয়ে গিয়েছেন। এর আগে লালাকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়সীমা বাড়িয়েছে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে বৃহস্পতিবার লালা সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কয়লা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালা। খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কয়লা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পৌঁছে যেত ভিনরাজ্যেও। এ কাজে তাঁকে ইসিএল, নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ এবং রেলের কর্মীদের একাংশ সাহায্য করত বলেও অভিযোগ। এ ছাড়াও সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে তদন্তে। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা তাঁদের হাতে ঘুরপথে পৌঁছে দিতেন লালা।
কয়লা পাচারের এই ঘটনার সিবিআই-এর পাশাপাশি ইডিও তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের যুবনেতা বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে বিনয়ের আত্মীয় অশোক মিশ্রকেও। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তে বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিক ও প্রভাবশালীদের নামও উঠে এসেছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সূত্রে আগেই বলা হয়েছিল কয়লা-কাণ্ডের শিকড় অনেক গভীরে। তদন্তে জট খুলতে গিয়ে যাঁদের নাম সামনে আসছে তাঁদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তালিকার ভিত্তিতেই জেরা চলছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশও এর সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে লালাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইলেও লালার ‘সুপ্রিম রক্ষাকবচ’-এর জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না এখনই।