দিলীপ ঘোষের ‘চায়েপে চর্চা’ ঘিরে সংঘর্ষ লেক টাউনে। —নিজস্ব চিত্র।
দিলীপ ঘোষের ‘চায়ে পে চর্চা’ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সুজিত বসুর ‘খাস তালুক’ শ্রীভূমি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেন আয়োজকেরা। তখনই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। তারই মধ্যে এলাকায় পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু। তাঁকে দেখে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের সমর্থকদের মারধর করেছে। সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ, গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে।
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসু এই ঘটনায় কোনও অন্যায় দেখতে পাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বহিরাগতরা এলাকায় এসে রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান করলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতেই পারে। এর বেশি কিছু ঘটেনি।’’
তবে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিষয়টিকে ‘নব্য’ বিজেপির সঙ্গে ‘পুরনো’ বিজেপির গোলমাল বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নব্য বিজেপি এবং পুরনো বিজেপির গোলমাল। কোথাও নিজেরা গোলমাল পাকাচ্ছে কোথাও আবার নিজেদের মধ্যে গোলমাল হচ্ছে। এর সঙ্গে কোনওভাবেই তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, দিলীপবাবুর সামনেই দলীয় কর্মীদের মারধর করা হয়। এমনকি, সাংসদ চলে যাওয়ার পরেও পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। তবে রাত পর্যন্ত স্থানীয় থানায় বিজেপির তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার উপরে আগেও হামলা হয়েছে। এ সব হামলায় ভয় পাই না। বরং বলব তৃণমূল ভয় পেয়ে বার বার বিজেপির উপরে হামলা চালাচ্ছে। দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। এ ভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না।’’
সকালে এই ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দুপুরে বিজেপির সদর দফতরের সামনে চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ খানিকক্ষণের জন্য অবরোধ করে দলের যুব মোর্চা। এ ছাড়াও নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড, হরিনাভি, গড়িয়া শীতলা মোড়, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দিলীপবাবুর উপর হামলার প্রতিবাদে এ দিন বিধানসভাতেও সরব হন বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা মনোজ টিগ্গা। ওই ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভা অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন তিনি।