—নিজস্ব চিত্র।
চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড় মঠে পালিত হচ্ছে যিশুর পুজো। বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় বেলুড় মঠের মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর প্রতি বছরই এই পুজোর আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পুজোয় যিশুর জীবনী ও বাণী পাঠ চলে। পাশাপাশি পরিবেশিত হয় ক্যারল গান। পুজোর ভোগ হিসাবে কেক-সন্দেশ নিবেদন করেন বেলুড়ের মহারাজেরা।
কথিত, ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে রামকৃষ্ণদেবের প্রয়াণের পর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর কয়েক জন গুরুভাইয়ের সঙ্গে হুগলির আটপুরে প্রেমানন্দ মহারাজ বা বাবুরাম মহারাজের বাড়িতে আসেন। সেখানে এক সন্ধ্যায় মহারাজের বাড়ির বাগানে ধুনো জ্বালিয়ে যিশুর বাণী এবং জীবনী শোনান তিনি। ঘটনাচক্রে সে দিনটি ছিল বড়দিনের আগের দিন বা ‘ক্রিসমাস ইভ’। পরে বেলুড় মঠ স্থাপিত হলে বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় যিশুর পুজো করার রীতি বজায় রাখে বেলুড় মঠ।