প্রতীকী ছবি।
ছোট মামির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরই ভাগ্নে। এ নিয়ে ওই বিবাহিত ভাগ্নের সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। তবে শুক্রবার বিকেলে তা চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, ওই মহিলার সঙ্গে সঙ্গে বচসার মধ্যেই তাঁকে মারধর করেন ভাগ্নের শ্বশুর-শাশুড়ি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যদিও ভাগ্নের শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি, পরকীয়ার জেরেই এ ঘটনা। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার হরিবাজারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মইতুন্নিশা বিবি। ভাগ্নে আসগর আলি তাঁর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি। ২০১৭ সালে আজগরের সঙ্গে জেমুয়ার বাসিন্দা আকিদা বিবির বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের পরেও মামি ও ভাগ্নের সম্পর্কে ভাটা পড়েনি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে আকিদার সঙ্গে আসগরের সংসারে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত। বেশ কয়েক বার তাঁদের অশান্তি মেটানোর চেষ্টা করেছেন স্থানীয়েরা। তবে তাতেও বিয়ষটির সুরাহা হয়নি।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, আকিদার থেকে জামাইয়ের পরকীয়ার কথা শুনে জেমুয়া থেকে হরিবাজারে ছুটে আসেন আজগরের শ্বশুর-শাশুড়ি শেখ আকশারুল এবং খুরশিদা বিবি। এর পর শুরু হয় তুমুল অশান্তি। সেই ঝামেলার মাঝেই মইতুন্নিশা বিবিকে সামনে পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। অভিযোগ, মইতুন্নিশা বিবিকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন আসগরের শ্বশুর-শাশুড়ি। মারধরের জেরে অসুস্থ মইতুন্নিশা বিবিকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় হরিবাজার এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আসগরের শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি, ‘‘জামাইয়ের সঙ্গে ছোট মামির পরকীয়ার সম্পর্কের জন্যই এ অঘটন ঘটেছে।’’