মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই চা শিল্প ওপর থেকে কৃষি-আয়কর মকুবের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার শুক্রবার ফিন্যান্স অপ্রোপিয়েশন (সংশোধনী) বিল পাশের সময় প্রস্তাব আকারে এ কথা জানান রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী রবিবার তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার কলকাতা থেকে রওনা হবেন তিনি। ওই দিন শিলিগুড়িতে থেকে পরদিন যাবেন দার্জিলিঙে। সেখানে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সাক্ষাৎ করতে পারেন পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সেই সফরের আগেই চা শিল্পের জন্য বড়সড় ছাড়ের কথা ঘোষণা করল অর্থ দফতর।
চন্দ্রিমা বলেছেন, ‘‘চা বাগানের উপর এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট্যাক্স ২০১৮ সাল থেকে মকুব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সময়সীমা আরও এক বছর বাড়ানো হল। কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের উপর গোটা রাজ্যে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনের উপর আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু চা শিল্পে এই ব্যবস্থা ছিল না। ২০১৮ সাল থেকে নতুন করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই তালিকায় চা শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’ অর্থমন্ত্রীর আরও দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বছরে রাজ্য সরকারের রাজস্বক্ষতি হবে নয় থেকে ১০ কোটি টাকা। তবুও সার্বিক ভাবে চা বাগানের শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ কথা ঘোষণার সময় বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, "বিরোধী দলের উত্তরবঙ্গের বিধায়করা প্রায় সময়ই নানা দাবি তোলেন। এমনকি বাংলা ভাগের দাবিও করেছেন তাঁরা। কিন্তু কাজের সময় তাঁদের আর পাওয়া গেল না। এই সংক্রান্ত কোনও দাবিদাওয়াও তাঁদের কাছ থেকে আমরা পাই না।’’ সঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি আরও বলেন, ‘‘বিষয়গুলি ভাবলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয়, তা তিনি করেছেন। অথচ চা শিল্প কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন। কেন্দ্র এ সব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না। তবে আমরা আমাদের কাজ করেছি, এ বার পালা কেন্দ্রীয় সরকারের।’’