আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বেশ কিছু দিন আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘পঞ্চায়েত’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ দর্শকের মনে সাড়া ফেলেছিল। অভিনয়-সফল সেই সিরিজের সিক্যুয়েলও হয়েছে সম্প্রতি। দর্শক সেটিকেও গ্রহণ করেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনও পঞ্চায়েত নিয়ে একটি সিরিজ শুরু করছে। তবে সেটি দীর্ঘ নয়। তিনটি পর্বের। সেই তিন পর্বে আমরা বোঝাতে চেষ্টা করেছি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। আগামী পঞ্চায়েত ভোটেও কি বজায় থাকবে রাজ্যে সন্ত্রাস, গা-জোয়ারি, বোমা বিস্ফোরণের অতীতের ধারা? না কি শাসক তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী এ বারের পঞ্চায়েত ভোট হবে ‘ব্যতিক্রমী’?
বস্তুত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে রাজ্যের শাসক তৃণমূল। প্রথমত, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় লাগাতার হিংসা, খুনোখুনি, অস্ত্র উদ্ধার, গ্রামীণ স্তরে দুর্নীতি-সহ নানা বিষয়ে জোড়াফুল শিবিরের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা। দ্বিতীয়ত, তৃণমূলের দলীয় স্তরেও চলছে মন্থনপর্ব। তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে’ এ বারের পঞ্চায়েত ভোট করার বার্তা দিয়েছেন দলকে। এই আবহে তৃণমূলের সংগঠনের কতটা গভীরে তাঁর বার্তা পৌঁছয়, সেটাও প্রণিধানযোগ্য।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘গা-জোয়ারি’র অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। ‘বিরোধীশূন্য’ পঞ্চায়েত গড়তে গিয়ে জোড়াফুল শিবির দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ করতে দেয়নি, এমন অভিযোগও উঠেছিল। উঠেছিল ভোটারদের একটা বড় অংশকে ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগও। তৃণমূলের অন্দরেই অনেকে মনে করেন, সেই ‘আগ্রাসী’ রাজনীতির ফল তাঁদের ভুগতে হয়েছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। সেই অভিজ্ঞতা স্মরণে রেখেই নতুন বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত করা তাঁর কাছেও চ্যালেঞ্জ।
সেই আবহেই আনন্দবাজার অনলাইনের এই সিরিজ। শুরু ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে।