লালনের মৃত্যু কী ভাবে, তার রিপোর্ট যাচ্ছে সিবিআইয়ের সদর দফতরে। —ফাইল চিত্র।
সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার রাতেই দিল্লির সদর দফতরে পুরো ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর।
সোমবার বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের মৃত্যু হয় রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে। শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় লালনের দেহ উদ্ধার করে সিবিআই। কী ভাবে হেফাজতে এক জনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। অন্য দিকে, সিবিআই দাবি করেছে আত্মহত্যা করেছেন লালন। পুলিশ যদিও লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবার রাতে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ডিআইজির অফিস থেকে আজ (সোমবার) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আমাকে টেলিফোনে জানানো হয় যে, সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের জেরা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, তা শুরু করেছি আমরা। ৪টা ৪০ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের তরফে স্থানীয় থানাকেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। বিচারবিভাগীয় তদন্তও হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।’’ অন্য দিকে, মঙ্গলবার এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে খুন করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের পর পরই বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পর পর কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। সিবিআই দাবি করে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন। তিনি নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন বলে দাবি। বগটুইকাণ্ডে কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে করে লালনের নাম পান তাঁরা।