becharam manna

Locket-Becharam: ক্ষমা না চাইলে দু’কোটি টাকার মানহানির মামলার হুমকি, লকেটকে চিঠি বেচারামের

বেচারামের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন লকেট। বিজেপি সাংসদ দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণও রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ০১:২১
Share:

লকেটকে আইনি নোটিস পাঠালেন বেচারাম। ফাইল চিত্র।

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বুধবার সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি হুগলির সাংসদকে পাঠালেন বেচারামের আইনজীবী। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারামের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ লকেট করেছেন, তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে দু’কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।

Advertisement

স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ২৬৯ জনের মধ্যে শুধু হুগলিরই রয়েছেন ৬৮ জন। রাজ্য জুড়ে এ নিয়ে শোরগোলের আবহে সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারামের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন লকেট। বিজেপি সাংসদ দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে অনেক তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। বেচারামের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে লকেট বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের কী ভাবে উনি টাকা ফেরত দেন, তা-ই দেখতে চাই।’’

ঘটনাচক্রে, টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার বিষয় নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। ওই অডিয়ো ক্লিপে এক ব্যক্তিকে বেচারামের নাম নিতে শোনা গিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ওই অডিয়োর প্রসঙ্গ টেনে লকেট বলেছিলেন, ‘‘উনি (বেচারাম) কী ভাবে টাকা নেওয়ার ছক করেছেন, তার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সিবিআই তদন্তে মুখোশ খুলে যাবে। কান টানলেই মাথা আসবে। বলাগড়ের যাঁরা আছেন, তাঁদেরও টানা হবে।’’

Advertisement

লকেটের মন্তব্য এবং অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে জেলার রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হতেই লকেটের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বেচারাম। তার পর বুধবার বিজেপি সাংসদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে গেল তাঁর পাঠানো আইনি নোটিস। বয়ান অনুযায়ী, লকেটের মন্তব্যের জেরে রাজ্যের মন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। মানসিক অশান্তির মধ্যে রয়েছেন তিনি। সাংসদ যদি ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে দু’কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement