সাধন দাস বৈরাগী। — নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত বাউল সাধক তথা শিল্পী সাধন দাস বৈরাগী। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের আমরুল গ্রামে নিজের আশ্রমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। তাঁর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত বাউল শিল্পীমহল এবং তাঁর অসংখ্য অনুরাগী।
বর্ধমানের মুক্তিপুরে জন্মেছিলেন সাধন দাস বৈরাগী। প্রথমে বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর এবং পরবর্তী কালে আমরুন গ্রামে আশ্রম তৈরি করেন তিনি। ১৯৯১ সালে জাপান সফরের পর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়ে ওঠেন ওই বাউল শিল্পী। তাঁর টানেই জাপানের ওসাকা থেকে সে দেশের নাগরিক মাকি কাজুমি চলে আসেন ভারতে। তিনি হয়ে ওঠেন তাঁর সাধন সঙ্গিনী। এর পর সাধন দাস বৈরাগীর টানে বিভিন্ন দেশ বহু নাগরিকই তাঁর শিষ্য হন। তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। বর্ধমানের আমরুল গ্রামে সাধন বৈরাগী তৈরি করেছিলেন তাঁর আশ্রম ‘সদানন্দের হাট’। দেশ-বিদেশ জুড়ে বহু শিষ্য রয়েছে তাঁর।
রবিবার রাত ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ ‘সদানন্দের হাট’ আশ্রমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাধন বৈরাগী। বীরভূমের কেঁদুলির তাঁর নিজের তৈরি ‘মনের মানুষ’ আখড়ায় মাঝেমাঝেই থাকতেন তিনি। সেখানে থাকেন তাঁর শিষ্য তন্ময় দাস বাউল। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরুনে পৌঁছন তাঁরা। ক্যানসার ধরা পড়েছিল সাধন বৈরাগীর। এ ছাড়াও আরও নানা সমস্যা ছিল তাঁর। সাধন বৈরাগীর মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত তাঁর গুণগ্রাহীরা।