আলমগির শেখ এবং শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
শাহজাহান শেখের ভাই আলমগির শেখ-সহ ধৃত তিন জনকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু বিচারক পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
শনিবার সকালে সিবিআইয়ের দফতর নিজ়াম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন আলমগির। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগিরের সঙ্গে সিবিআই দফতরে আরও দু’জনকে তলব করা হয়েছিল। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নাম মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লা। দু’জনেই সন্দেশখালির বাসিন্দা। মাফুজার সন্দেশখালি ১ ব্লকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। ইডির উপর হামলার ঘটনায় আগেই শাহজাহান-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের বয়ান এবং যা সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে আলমগির-সহ ওই তিন জনকে।
আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাঁদেরই হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআইয়ের দল বেশ কয়েক বার সন্দেশখালি থেকে ঘুরে এসেছে। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে এবং ধরিয়ে এসেছে তলবের নোটিস। শাহজাহানের ভাই আলমগিরের বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সেই নোটিস অনুযায়ীই শনিবার সকালে তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তের জন্য শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু বাড়তে তারা ঢুকতেই পারেনি। শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ির বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং ইডি আধিকারিকদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পর থেকে শাহজাহান নিখোঁজ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার পর কলকাতা হাই কোর্ট তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৪ মার্চ শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে আরও আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।