প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী-সন্তানের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মারা গিয়েছেন রেহেনা হালদার (২৩) ও তাঁর আট মাসের ছেলে রেহান। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত এমতাজুল হালদার।
বুধবার বিকেলে অগ্নিদগ্ধ হন রেহেনা ও রেহান। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ১২ নম্বর গরানবোস গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত। রেহেনার গায়ের রঙ কালো হওয়ায় এমতাজুল বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে কথা শোনাত। মাঝে মধ্যে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যও চাপ দিত।
অভিযোগ, পেশায় গাড়িচালক ওই যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি অন্য এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন রেহেনা। যার জেরে গত কয়েক দিন ধরে সংসারে অশান্তি বেড়েছিল।
বুধবারও গোলমাল বাধে। বিকেলের দিকে রেহেনা যখন সন্তানকে খাওয়াচ্ছিলেন, সে সময়ে এমতাজুল পিছন থেকে এসে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মারা যান রেহেনা। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় রেহান।
রেহেনার মা আজিমন গায়েন বলেন, “বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করত জামাই। ইদানীং একটা অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল। মেয়ে প্রতিবাদ করায় ওদের পুড়িয়ে মেরেছে।’’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়নি বাসন্তী থানায়। তবে পুলিশ একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দেহ দু’টি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।