ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার বারুইপুর কারাগারে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার পরিষেবার প্রস্তাব দিয়েছেন জেল-কর্তৃপক্ষ। তাতে সম্মতিও দিয়েছেন জেলা গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিনের মধ্যে সেই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে চলেছে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

অপরাধ করেছেন! শাস্তিও পেয়েছেন। তবে একটি সুন্দর অভ্যাস বদলায়নি।

Advertisement

বই পড়ার অভ্যাস।

সেই জন্য তাঁরা বই পাবেন। বই বাছবেন তাঁরাই। সেই অনুযায়ী তাঁদের কাছে বই পৌঁছে যাবে। তাঁরা মানে বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরা।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার পরিষেবার প্রস্তাব দিয়েছেন জেল-কর্তৃপক্ষ। তাতে সম্মতিও দিয়েছেন জেলা গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিনের মধ্যে সেই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে চলেছে।

গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের টংতলায় বারুইপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দিশূন্য হয়ে যায় আলিপুর জেল। সেখানকার গ্রন্থাগারের সব বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারুইপুরে। সেই গ্রন্থাগারে হাজার তিনেক বই আছে। তার বেশির ভাগই পুরনো। শতবর্ষও পূর্ণ করছে কোনও কোনও বই। যা অনেক বন্দিদের পড়াও হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন বইয়ের চাহিদা বাড়ছে। সেই জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গ্রন্থাগারের কাছে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন জেল-কর্তৃপক্ষ। তার পরে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন জেলা গ্রন্থাগারের কর্তারা। জেলা গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিকের সঙ্গেও আলোচনা হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার রয়েছে। সেটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। ফলে সেটিকে নিয়মিত জেলে পাঠানো সম্ভব হবে না। সেই জন্য জেলের চাহিদা অনুযায়ী এক মাসের বই এক বারে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেগুলি ফেরত নিয়ে দেওয়া হবে নতুন বই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গ্রন্থাগারকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক বাপনকুমার মাইতি।

নতুন বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে বন্দিদের মতামত। সেই মতামত অনুযায়ী বই বাছাই করবেন কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকা জেলা গ্রন্থাগারে পৌঁছে দেবেন তাঁরা। একটি খাতায় লিখে বন্দিদের বই দেওয়া হয়। যা তাঁরা গ্রন্থাগারে বসে কিংবা সেল বা ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়েও পড়তে পারেন।

নভেম্বরে বন্দিদের ধাপে ধাপে বারুইপুরে পাঠানো শুরু হয়। এখন সেখানে অন্তত ১১০০ বন্দি আছেন। পঞ্চাশের বেশি সেল তৈরির কাজ শেষ। প্রেসিডেন্সি জেল থেকেও বন্দিদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement