আদালত চত্বরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের ঘটনায় শুক্রবারও প্রশাসনিক নিস্ক্রীয়তার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীরা। তবে দুপুর ও বিকেলে পরপর দু’টি প্রশাসনিক বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় কর্মবিরতি তুলে নেয় কালনা বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে আইনজীবীরা স্বাভাবিক কাজকর্মে সামিল হবেন।
বৃহস্পতিবার মহকুমা প্রশাসনের এক ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে ঢুকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে তাঁকে মারধর করে। ওই ম্যাজিস্ট্রেট তারাশঙ্কর ঘোষকে বাঁচাতে গিয়ে দুই আইনজীবী ও দুই কর্মীও আহত হন। পরে পুলিশ কালনার মহকুমাশাসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তারাশঙ্করবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করে। পরে আইনজীবীরা অভিযোগ তোলেন, কাছেই পুলিশ লক-আপ থাকা সত্বেও পুলিশ আসতে অনেক দেরি করেছে।
শুক্রবার আইনজীবীরা কোনও কাজে যোগ না দেওয়ায় আদালত চত্বর ছিল সুনসান। বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে একটি বৈঠক করে আইনজীবীরা তিনটে নাগাদ মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, মহকুমাশাসক পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছেন তাতে আইনজীবীদের মার খাওয়ার ঘটনার উল্লেখ নেই। অথচ তাঁরাই ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে বাঁচিয়েছেন।
মহকুমাশাসক বলেন, “পুলিশ তদন্ত শুরু করলে নিশ্চয় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবে। আমরাও তদন্তের সময়ে আইনজীবীদের মার খাওয়ার বিষয়টি জানাব। সাড়ে চারটে নাগাদ কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার, ওসি দীপঙ্কর সরকার, মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে হাজির হন। আইনজীবীরা ফের তাঁদের অভিযোগ জানান।
এসডিপিও বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি বর্ধমানে ছিলাম। ঘটনার কথা জানতে পারার পরেই ফোর্স পাঠানো হয়।” ওসি বলেন, “আইনজীবীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।” এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আইনজীবীরা স্বাভাববির কাজকর্মে ফেরার আশ্বাস দেন।