আসানসোলে এডিজি (নির্মাণ)। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের সীমানা এলাকার মহকুমায় পুলিশি পরিকাঠামো ঢেলে সাজার জন্য নানা সময়ে দাবি তুলেছে বিভিন্ন মহল। অবশেষে সে ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। আসানসোলের বেশ কিছু ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করা, নতুন কিছু ফাঁড়ি তৈরি, পুলিশ ব্যারাক গড়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে গেলেন এডিজি (নির্মাণ) শিবাজি ঘোষ।
বুধবার আসানসোলে এসে এডিজি (নির্মাণ) মহকুমার নানা থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পরে তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র দফতর আসানসোলে পুলিশ বিভাগের উন্নয়নে নানা প্রকল্প নিয়েছে। সে সবের জন্যই পরিদর্শন করলেন এডিজি (নির্মাণ)। কমিশনারেট এলাকায় আরও কিছু পুলিশ ব্যারাক ও আবাসন দরকার। সেগুলি তৈরির জন্য পুলিশ লাইন লাগোয়া এলাকায় জমির খোঁজা হয়েছে। মহিলা ব্যারাকের জন্য জমির খোঁজ করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানান, মহকুমার বেশ কয়েকটি থানা ও ফাঁড়ি ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে জামুড়িয়া ও আসানসোল উত্তর থানাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্র এই কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
এক পুলিশকর্তা জানান, কমিশনারেট গঠনের পর থেকে পুলিশের অন্দরে তো বটেই, নানা বাণিজ্যিক ও গণ সংগঠনের তরফেও শিল্পাঞ্চলের পুলিশ বিভাগের খোলনলচে বদলানোর দাবি উঠেছে। সীমানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কয়েকটি ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরের দাবি উঠেছে। ওই পুলিশকর্তা জানান, বছর দুই আগে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে কমিশনারেটের তরফে এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, রূপনারায়ণপুর, নিয়ামতপুর-সহ কয়েকটি ফাঁড়িকে দ্রুত থানায় রূপান্তর করতে চাইছেন কমিশনারেটের কর্তারাও।
পুলিশ কমিশনার এ দিন বলেন, “কয়েকটি ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করা হবে।” তবে কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়া থানাকে মডেল থানা হিসেবে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এ দিন সেগুলি নিয়ে এডিজি (নির্মাণ) বিশদে আলোচনাও করেন। আসানসোল উত্তর থানাটিও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এডিডিএ কলোনিতে জায়গা বাছা হয়েছে। এই থানা এলাকায় আর একটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, “ভবিষ্যতে আসানসোলের সব ক’টি থানাকেই মডেল থানার রূপ দেওয়া হবে।”