শহরের নিকাশি সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করতে ১৩ জনের কমিটি গড়া হল বৃহস্পতিবার। কালনা পুরভবনে মহকুমাশাসক জানান, কোন জায়গায় সমস্যা বেশি দেখে তা সমাধানের বন্দোবস্তো করবে ওই কমিটি। স্থায়ী সমাধানের জন্য মাস্টারপ্ল্যানও তৈরি করা হবে। অর্থ বরাদ্দ করা হবে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাংসদ তহবিল থেকে।
কালনার নিকাশি সমস্যা বহু পুরনো। বর্তমানে অনেক জায়গায় নিকাশি নালা না থাকায় বা পুকুর মজে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। দিনকয়েক আগেই কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটুজল জমে গিয়েছিল বৈদ্যপুর মোড়ে। জল জমে বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছিল শহর লাগোয়া এসটিকেকে রোডও। সমস্যা নজরে পড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের। মহকুমাশাসকের কাছে জরুরি বৈঠক ডাকার আর্জি জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠকে কাউন্সিলরদের কাছে কোন ওয়ার্ডে সমস্যা কতখানি তা জানতে চাওয়া হয়। কাউন্সিলরেরা জানান, নতুন বাসস্ট্যান্ড ও তার আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি জল জমে। কারণ শহরের একটা বড় অংশের জল ওই পথ ধরে বেহুলায় পৌঁছয়। ওই এলাকার সমস্যা মেটাতে সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন সুনীলবাবু।
বিকেল ৩টে নাগাদ বৈঠক শেষে আধিকারিকদের নিয়ে বৈদ্যপুর এলাকায় যান সাংসদ। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেলের তিনটি কালভার্টের মধ্যে দিয়ে শহরের নোংরা জল বেহুলা নদীতে গিয়ে মেশে। কালভার্টের কাছে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে বেশ খানিকটা নালা বুজে গিয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতা আশুতোষ দাস জানান, পাকা নালা না থাকায় ফি বছরই উপচে পড়া নোংরা জলে প্রায় ২০০ বিঘে চাষজমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাছাড়া পুকুরের উপর দিয়ে নোংরা জল যাওয়ায় মাছ চাষও করা যায় না। তড়িঘড়ি নালা সংস্কারের নির্দেশ দেন সাংসদ। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষও জানান, কমিটির মাধ্যমে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।