মন্তেশ্বরের এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল কালীপুজোর পরের রাতে। এই ঘটনায় পুলিশে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এক ছাত্র ও ওই আদিবাসী ছাত্রীর এক সহপাঠিনীকে শনিবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই ছাত্রীকেও।
বুধবার হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন বর্ধমান জেলা গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা। সেখানেই তাঁরা দাবি করেন, ধৃত সোমনাথ হাজরা টিএমসিপি-র নেতা। মহিলা সমিতির প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যে ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি টিএমসিপি নেতা। প্রতিনিধি দলের সদস্য ও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গৌরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ধৃত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। ছাত্র নেতাদের কাজ হল আন্দোলন করা। তা ছেড়ে দিয়ে ওরা কি কাজে নেমেছে?” ধৃতদের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।
তবে ধৃতকে দলীয় সদস্য হিসেবে মানতে চায়নি টিএমসিপি। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, “সোমনাথ নামের কাউকে আমি চিনি না। আমাদের কাজ ছাত্রীদের রক্ষা করা। সেটার উল্টো কাজ যখন ঘটেছে, তখন আমার মনে হয় ওই ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের কেউ নয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমানাথ হাজরা নামে এক ছাত্র এবং সোমনাথের আত্মীয় ওই আদিবাসী ছাত্রীর এক সহপাঠিনীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত সোমনাথ গৌরমোহন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি মন্তেশ্বরের জামনা পঞ্চায়েতের কাটসিহি গ্রামে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। ধৃত ছাত্রীটি অবশ্য সোমবার জামিন পেয়েছে।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ধৃতের পরিবার জানিয়েছিল, গত ২৪ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে তার এক সহপাঠিনী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তার পর সোমনাথ তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেই বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। পরে গ্রামবাসীরা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ছাত্রীটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।