সাইদুল হক ও সীতারাম ইয়েচুরি। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদলের পরে পুরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে ‘রিগিং’ সত্ত্বেও তাঁরা গড়ে প্রায় ৩৯% শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাই এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি ও নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়িতে ফল আরও ভাল হবে বলে বামেদের, রবিবার দুর্গাপুরে এমনই দাবি করলেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি।
এ দিন সিটি সেন্টারের একটি লজে সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন, “পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচণ্ড রিগিং হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বামফ্রন্ট গড়ে ৩৯ শতাংশ হারে ভোট পেয়েছে। এ বার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে ভোট হওয়ায় রিগিংয়ের আশঙ্কা কম। তা ছাড়া বর্তমান রাজ্য সরকারের কাজে বীতশ্রদ্ধ অনেকেই। দুইয়ে মিলে আমাদের ফল ভাল হবে।” তাঁর বক্তব্য, “যদি এই রাজ্যে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান তা হলে বামফ্রন্টের ফল ভাল হবে। নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করবে বলে আমাদের আশা।”
ইউপিএ সরকারের আর ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই দাবি করে সীতারাম ইয়েচুরির মন্তব্য, “এ বার নির্বাচনে কংগ্রেসও না, বিজেপি-ও না। কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছেন, তৃতীয় বিকল্পের সম্ভাবনা প্রবল। তাই আগে থেকে তারা সমর্থনের সম্ভাবনার কথা বলেছে। নির্বাচনের পরে ১৯৯৬ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।” এ দিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর দাবি, “খুব কম জনই আছেন যাঁরা ইউপিএ এবং এনডিএদুই সরকারেই ছিলেন। উনি তেমনই এক জন। গুজরাট কাণ্ডের পরেও উনি এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘু ভোটের কথা মাথায় রেখে এখন এনডিএ এবং মোদীর বিরোধিতা করছেন। সম্ভাবনা তৈরি হলে উনি ফের এনডিএতে যোগ দেবেন। তবে তেমন পরিস্থিতি এ বার আর তৈরি হবে না।”
পরিস্থিতির প্রয়োজনে বামফ্রন্ট কি কংগ্রেসের নেতৃত্বের সরকারকে সমর্থন করবে, সে প্রশ্নে সরাসরি জবাব এড়িয়ে সীতারাম বলেন, “এ বার আর তেমন পরিস্থিতি আসবে না।” সারদা-কাণ্ড ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বদলি হওয়া আধিকারিকদের ভোট মিটলেই আগের পদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি।
তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, “এ তো চোরের মায়ের বড় গলা! মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই ধারাই বজায় থাকবে।”