Cremation ground

প্রকল্পের কাজ আটকে যুব নেতার ‘হুমকি’তে

মালদহের ওই ঠিকা সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯-এর শেষ দিকে তারা প্রকল্প নির্মাণের বরাত পেয়েছিল। প্রকল্প থেকে ২.২ কোটি লিটার জল তুলে পাঠানো হবে ‘পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে’।

Advertisement

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩০
Share:

—ফাইল চিত্র।

এক বছর আগে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের বীরভানপুর শ্মশানঘাটের কাছে দামোদরের উপরে জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার জেলা সফরে আসছেন তিনি। কিন্তু তার আগেই সেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ তৃণমূলের এক যুব নেতার ‘হুমকি’র জেরে থমকে গিয়েছে বলে প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থা।

Advertisement

মালদহের ওই ঠিকা সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৯-এর শেষ দিকে তারা প্রকল্প নির্মাণের বরাত পেয়েছিল। প্রকল্প থেকে ২.২ কোটি লিটার জল তুলে পাঠানো হবে ‘পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে’। সংস্থাটির ডিরেক্টর মহম্মদ আসিফ আকতার জানান, ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত ১৩ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এগারো জন মত্ত অবস্থায় প্রকল্প এলাকায় চড়াও হন। কর্মীদের খুন করে দামোদরে ফেলে দেওয়া হবে, এমন হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্লোলবাবু দুর্গাপুর ৩ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। কী নিয়ে গোলমাল? ঠিকা সংস্থাটির দাবি, কল্লোলবাবুদের দাবি মেনে এক জন কর্মীকে প্রকল্পের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। তার পরে ফের কর্মী নিয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে, যা মানা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে গত ২০ নভেম্বর কল্লোলবাবুদের বিরুদ্ধে কোকআভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সংস্থাটি। বন্ধ করে দিতে হয় প্রকল্পের কাজও। আসিফ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজির দফতরের কাছে লিখিত আর্জি জানিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য দরবার করেছি আমরা। আবেদনের প্রতিলিপি পুলিশ-প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট জায়গাতেও পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও কাজ বন্ধ।’’

Advertisement

পাশাপাশি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দুর্গাপুর ওয়াটার সাপ্লাই ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুপ্রিয় চক্রবর্তী জানান, গত ১ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছেন। সুপ্রিয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘গত ১৩ নভেম্বর ঘটনাস্থলে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারকেও হেনস্থা করা হয়।’’

তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুব নেতা কল্লোলবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘১৩ নভেম্বর আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। ফোনে ঠিকা সংস্থাকে জানিয়েছি, স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করতে হবে। আমি পুলিশের কাছেও এটাই বলেছি।’’ যদিও জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবুর আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement