—ফাইল চিত্র
বেতন না মেলার অভিযোগে দু’দিন কাজ না করে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিক-কর্মীরা। মঙ্গলবার ঠিকাদার সংস্থার তরফে শীঘ্র বেতন মেটানোর আশ্বাস দেওয়ার পরে, কাজ শুরু হয় ইসিএলের নিউকেন্দা কোলিয়ারির নিউকেন্দা খোলামুখ খনিতে। তবে রবিবার থেকে দু’দিন কোনও উৎপাদন না হওয়ায় বড় ক্ষতি হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের দাবি।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউকেন্দা কোলিয়ারির ৪ নম্বর ভূগর্ভস্থ খনির লোকসান পূরণ করতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়ে খোলামুখ খনি চালু করা হয়। তবে ক্ষতিপূরণ-সহ নানা দাবিতে ‘কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটি’র প্রতিবাদের জেরে বছর দেড়েক সেখানে উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত ডিসেম্বর থেকে ফের তা চালু হয়।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খনিতে দৈনিক প্রায় দেড় হাজার টন কয়লা উত্তোলন হয়। প্রতি টন কয়লার দাম চার হাজার টাকা। দু’দিন কাজ বন্ধের জেরে প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে সংস্থার। প্রতি টনে রাজ্য সরকার ২২৫ টাকা ‘সেস’ পায়। সেই হিসাবে ছ’লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে সরকারের।
কোলিয়ারির এক আধিকারিক জানান, ৪ নম্বর ভূগর্ভস্থ খনিটির প্রতি টন কয়লা উত্তোলনে ২৯ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। গত অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এই ক্ষতিপূরণের জন্যই ‘আউটসোর্সিং’-এর মাধ্যমে খোলামুখ খনি চালানোর পরিকল্পনা হয়। চলতি অর্থবর্ষে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলামুখ খনি থেকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। এই খনি চালাতে না পারলে ভূগর্ভস্থ খনিটিও বন্ধ করে দিতে হবে বলে ইসিএলের কর্তাদের দাবি।
কোলিয়ারি সূত্রে জানা যায়, কাজ চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয়। দ্রুত সমাধান না হলে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ঠিকাদার সংস্থাটি জানায়, তাদের কিছু বকেয়া পাওনা রয়েছে। তা না পাওয়ায় বেতন মেটাতে দেরি হয়েছে। শ্রমিকদের সপ্তাহখানেকের মধ্যে বেতন মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পরেই মঙ্গলবার কাজে নামেন শ্রমিকেরা।