গলসিতে তৃণমূলে যোগদান। নিজস্ব চিত্র।
কেউ পাননি টিকিট, তো কেউ দলে থেকে ‘কাজ করতে পারছেন না’— এই ধরনের অভিযোগ তুলে গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূল ছেড়েছেন অনেক নেতা-কর্মী। তৃণমূল ছেড়ে তাঁরা অধিকাংশই গিয়েছেন পদ্মশিবিরে। কিন্তু এই প্রবণতার উল্টো চিত্র দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। সেখানে বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিরোধী শিবিরের লোকেরা।
সোমবার সন্ধ্যায় গলসি ১ নম্বর ব্লকের চাঁকতেঁতুল অঞ্চলের সাকুড়ি গ্রামে মিছিল করেন তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ-সভাপতি জাকির হোসেন। গলসি বিধানসভা কেন্দ্রর তৃণমূল প্রার্থী নেপাল ঘড়ুইয়ের সমর্থনে মিছিল হয় সেখানে। মিছিলের শেষে তৃণমূলের পথসভা হয় সাকুড়ি গ্রামে। সেখানেই এলাকার সিপিএম নেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা গৌতম ঘোষের নেতৃত্বে প্রায় ৪০টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন এবং গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়। যোগদানকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘এ বার ক্ষমতায় আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কারণ উন্নয়ন যা হয়েছে, তাতে মানুষ বিজেপি বা অন্য কোনও দলকে ভোট দেবে না।’’ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গৌতম ঘোষ বলেছেন, ‘‘বিজেপি এখন কয়েক জনের দলে পরিণত হয়েছে। টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায় বিজেপি-তে। তাই বাধ্য হয়েই দল ছাড়লাম।’’
এ নিয়ে জেলা বিজেপি-র যুবমোর্চা সভাপতি শুভম নিয়োগী বলেছেন, ‘‘রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই। যারা চলে যাচ্ছে তারা পরে ভুল বুঝতে পারবে।’’ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন সিপিএম নেতারা।