—ফাইল চিত্র।
বেতনের বদলে অগ্রিম নয়। পুরো বেতন চাই। এমনই দাবি তুলে বুধবার দুর্গাপুরের বাঁশকোপার একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানায় বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকদের একাংশ। বিধায়ক তথা আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শ্রমিকেরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, লকডাউনের জেরে এপ্রিলের বেতন পাননি দু্র্গাপুরের অধিকাংশ বেসরকারি ইস্পাত ও ইস্পাত অনুসারী কারখানার শ্রমিকেরা। সমস্যা মেটাতে সোমবার শ্রম দফতরের উদ্যোগে কারখানা মালিকদের সংগঠন এবং আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের মধ্যে বৈঠকে ঠিক হয়, বেতনের পরিবর্তে মার্চ মাসের শেষ ৮ দিন এবং এপ্রিলের ৩০ দিন, মোট ৩৮ দিনের জন্য অগ্রিম হিসেবে সব শ্রমিক পাঁচ হাজার টাকা (অ্যাডভান্স) পাবেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রমিকদের পুরো বেতন দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার শ্রম দফতরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিটু। শ্রম দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে সিটু জানায়, কোনও অগ্রিম বা অ্যাডভান্স নয়। শ্রমিকদের পুরো বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাঁশকোপার ওই কারখানায় বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা জানান, মার্চ মাসের বেতন কারখানা কর্তৃপক্ষ এপ্রিলে তাঁদের মিটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, এপ্রিল মাসের ২৬ দিনের বেতনও কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কর্তৃপক্ষ পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ দিতে চাইছেন। তা মানা হবে না। পুরো বেতন দিতে হবে। শ্রমিক শিবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরো বেতনের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি না মানা হলে ফের আন্দোলন হবে।’’
এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘আর্থিক কারণে বহু শ্রমিক সমস্যায় পড়েছেন। সে জন্য আপাতত পাঁচ হাজার টাকার অগ্রিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ এ দিকে, কারখানার আধিকারিক সঞ্জয় ঝা বলেন, ‘‘শ্রম দফতরে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী আমরা ঠিকাদারকে শ্রমিক পিছু অগ্রিম হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে মিটিয়ে দিয়েছি। কিন্তু শ্রমিকরা তা নিতে চাইছেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।’’