মানকর রেলগেটে ভোগান্তির চেনা ছবি। —বিকাশ মশান।
• কাঁকসা, গলসি, আউশগ্রামের একমাত্র অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র রয়েছে কাঁকসায়। কোথাও আগুন লাগলে অনেক সময়েই দমকলের গাড়ি সময়ে পৌঁছতে পারে না। গলসি ১ ব্লকের কোথাও অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র হলে প্রচুর মানুষের উপকার হবে।
আলাউদ্দিন কাজী, কোলকোল।
সভাপতি: এই এলাকায় একটি অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের প্রয়োজন মাথায় রেখে জেলাশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমরা জায়গাও চিহ্নিত করে রেখেছি।
• চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোপমহল গ্রামদুটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। কাঁচা রাস্তায় বর্যায় চলাচল করা যায় না। পড়ুয়াদের স্কুলে যেতেও সমস্যা হয়। অনেকেই পড়াশোনা ছেড়েও দেয়।
মোজাফ্ফর হোসেন মিদ্দা, বনগ্রাম
সভাপতি: এই গ্রাম দুটির রাস্তা পাকা করার জন্য জেলা পরিষদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
• ভাসাপুল থেকে রামনগর যাওয়ার রাস্তায় ক্যানালের উপর একটি সেতু আছে। সেতুটি খুবই সংকীর্ণ ও পুরনো। সংস্কার করা গেলে প্রায় দশটি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। এ ছাড়া সেতুর নিচের অংশটি বার বার ধসে যায়। প্রাথমিক ভাবে কাজ হলেও প্রায় প্রতিবছরই সেটি নষ্ট হয়ে যায়। ওই অংশটি কংক্রিটের করা গেলে ভাল হবে।
নারায়ণ চক্রবর্তী, পোতনা
সভাপতি: ওই সেতুটি সেচ দফতরের। তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
• এই ব্লকের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। ডিভিসির জলে চাষাবাদ করেন তাঁদের বেশির ভাগ। কিন্তু প্রতিবছরই জল নিয়ে সমস্যা হয়। আর সেই খবর পাওয়া যায় চােষর মরসুম শুরুর ঠিক আগে। ফলে বিকল্প চাষে যাওয়ারও সুযোগ হয় না। জলের খবর আগে পাওয়া গেলে কোন চাষ করা হবে, তা ঠিক করতে সুবিধে হয়।
শেখ আকবর, বনগ্রাম
সভাপতি: এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে। দরকারে সেচমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করব।
• বুদবুদ বাজারের অন্যতম সমস্যা হল আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকা। ফলে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই নিকাশি নালাগুলিতে আবর্জনা ফেলেন। মজে যায় নালাগুলি। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বুদবুদ বাজার। এলাকায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন
বিনোদ শর্মা, বুদবুদ বাজার
সভাপতি: বুদবুদ ও মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতকে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির জন্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে মানকরে একটি কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ করা শুরু হয়েছে।
• গলসি ১ ব্লকে বেশ কয়েকটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রয়েছে। তাদের কয়েকটিতে কোনও কমিউনিটি সেন্টার নেই। ফলে অনুষ্ঠান করতে হলে ম্যারাপ বেঁধে বা ফাঁকা মাঠে ব্যবস্থা করা হয়। একটি ঘর থাকলে সুবিধা হবে।
মদন টুডু, ঝারুল
সভাপতি: ওই এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
• লোয়া গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জন চিকিৎসক আছেন ঠিকই, কিন্তু এখন আর আসেন না তিনি। অথচ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য বেতন পান বলে আমরা জেনেছি। চিকিৎসকের অভাবে সমস্ত পরিকাঠামো পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এলাকায় আর কোনও চিকিৎসা কেন্দ্রও নেই।
লক্ষ্মী বাগ্দি, লোয়া
সভাপতি: এই সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরে আমরা জানিয়েছি। এমনকী, রাজ্যের এক মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে।
• বুদবুদ শ্মশান ও কবরস্থানের পাশেই বহু মানুষের চাষের জমি রয়েছে। কিন্তু জমিতে যেতে গেলে মানকর হয়ে ঘুরে যেতে হয়। কারণ ওই অংশ দিয়ে খড়ি নদী গিয়েছে। ওই এলাকায় খড়ি নদীর উপর একটি সেতু তৈরি হলে সুবিধা হয়।
দেবদাস কুন্ডু, বুদবুদ গ্রাম
সভাপতি: নদীর ওই অংশে সেতু তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু এখন পঞ্চায়েত সমিতির হাতে বেশি অর্থ থাকে না। কাজেই বিধায়ক বা সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ জোগাড় না হলে মুশকিল। চেষ্টা চালাচ্ছি।
• রামগোপালপুর হাইস্কুলে পড়ুয়ার চাপ অনেক বেশি। ওই এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অনুমোদন মিলেছিল। তার ভবনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পাঁচিল তৈরি হয়নি। বিদ্যালয়ও চালু হয়নি।
শেখ খায়রুল আলম, বামুনাড়া
সভাপতি: সীমানা পাঁচিল তৈরির উদ্যোগ করা হয়েছে। ভবনের কিছুটা অংশের কাজ বাকি রয়েছে। দ্রুত সব পরিকাঠামো করা হবে। তার পরেই স্কুল চালু করা হবে।
• মানকর এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা রেলগেটে যানজট। দিনের বেশির ভাগ সময়ই যানজট থাকে। মানকরে বেশ কয়েকটি কলেজ, স্কুল, হাসপাতাল রয়েছে। আবার বুদবুদ বাজারে আউশগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও মানুষজন আসেন। এখানে একটি উড়ালপুল তৈরি হলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।
হৈমন্তী বালা, মানকর কলোনি
সভাপতি: রেলের ফ্রেট করিডর তৈরি নিয়ে বৈঠকের সময় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে উড়ালপুলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
• বুদবুদ বাইপাসের তিলডাঙা মোড় অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাও নেই। একটি আন্ডারপাস তৈরি করা হলে দুর্ঘটনা অনেকটাই রোখা যাবে।
শেখ মনোহর, তিলডাঙা
সভাপতি: বিগত দিনের খুবই বড় সমস্যা এটি। আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্ডারপাস তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেছি। কর্তৃপক্ষ আন্ডারপাস তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন।
• মাস সাতেক আগে কৃষক বাজারে একটি একশো দিনের কাজ হয়েছিল। মোট কুড়ি দিনের কাজের মধ্যে পাঁচ দিনের টাকা মিললেও, বাকি দিনগুলির টাকা এখনও মেলেনি। সমস্যায় পড়ছি আমরা।
সবিতা বারুই, রাইপুর
সভাপতি: একশো দিনের কাজের টাকা অনিয়মিত ভাবে আসে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি