প্রতীকী ছবি।
কারখানা চালু না থাকলেও বিদ্যুৎ এবং ‘কোলবেল্ট মিথেন গ্যাস’-এর জন্য দিতে হয় ন্যূনতম ‘ফি’। সেই ‘ফি’ মকুব-সহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে সম্প্রতি জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজির কাছে ই-মেলে আর্জি জানিয়েছে ‘রানিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স’।
বণিক সংগঠনটি জানিয়েছে, রানিগঞ্জে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের ৭০টিরও বেশি কারখানা রয়েছে। সংগঠনের আর্জি, ওই দু’ক্ষেত্রের ন্যূনতম ‘ফি’ মকুব করা হোক। আগামী তিন মাস বিদ্যুৎ বিল বিনা জরিমানায় বারো মাসের কিস্তিতে এবং ২৫ শতাংশ ছাড়-সহ দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে, এই দাবিও জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক-ঋণের কিস্তি ছ’মাস না নেওয়া, পরিবর্তে ঋণের মূল ও সুদ বারো মাসে মেটানোর ব্যবস্থা করা, ন্যূনতম সুদে আরও ২৫ শতাংশ ঋণদানের ব্যবস্থা করা হোক বলেও আর্জি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, ‘লকডাউন’-পর্বে যে সব সংস্থা ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারবে না, তাদের ‘ডিফলটার’ হিসাবে গণ্য না করারও আর্জি জানানো হয়েছে। যাদের ঋণ নেই তারা যাতে আপাতত সম্পদ জমা না দিয়ে ব্যাঙ্কের ‘ওভারড্রাফট’-এর সুযোগ পায় এবং সব ক্ষেত্রেই জিএসটি প্রদানের সময়সীমা বাড়ানো হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছে সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে প্রদেয় করের ক্ষেত্রে যা ফেরতযোগ্য তা দ্রুত দেওয়া এবং ভর্তুকির ব্যবস্থা-সহ অগ্রিম কর প্রদানের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে সংগঠনের সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়া বলেন, ‘‘বিভিন্ন সংস্থার যে সব কর্মীরা ‘এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনসিউরেন্স কর্পোরেশন’-এর (‘ইএসআইসি’) সুযোগ পান তাঁদের ক্ষেত্রে লকডাউনের সময়টিকে চিকিৎসাজনিত অনুপস্থিতি হিসাবে দেখানো হোক। তাঁদের বেতন দিক সরকার।’’ বণিক সংগঠনটির দাবি, রানিগঞ্জ শিল্পতালুকের কারখানাগুলি ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সরকারি স্তর থেকে এ সমস্ত সহযোগিতা মিললে তবেই শিল্পক্ষেত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সন্দীপবাবু।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবুর আশ্বাস, ‘‘দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।’’