West Bengal Lockdown

বর্ধমানে টহল, কালনায় ভিড় জমায় দোকান বন্ধ

বর্ধমান শহরে এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’-এর শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০৪:০৩
Share:

কালনার নিভুজিবাজারে ভিড় ক্রেতাদের। মঙ্গলবার সকালে। নিজস্ব চিত্র

শহরে সপ্তাহব্যাপী ‘লকডাউন’-এর শেষ দিন, মঙ্গলবার রীতিমতো কড়াকড়ি হল বর্ধমানে। কালনায় আবার ‘লকডাউন’-এর মধ্যেও এ দিন ভিড় জমল বাজারে। বেলার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে দোকানপাট বন্ধ হয়।

Advertisement

বর্ধমান শহরে এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’-এর শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। আজ, বুধবার রাজ্য সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ রয়েছে। তাই মঙ্গলবার যাতে বাজার-দোকানে অতিরিক্ত ভিড় না জমে, সে জন্য সকাল থেকে টহল দিতে শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহর জুড়ে প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়েছিল। এ দিন কার্জন গেট, বীরহাটা, পুলিশ লাইন, গোলাপবাগ, নবাবহাট-সহ নানা জায়গায় পথচারীদের আটকানো হয়। অকারণে কেউ বেরিয়েছেন বুঝলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নবাবহাট থেকে স্টেশন পর্যন্ত পুলিশের টহল ছিল। বেলা বাড়তেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বাজার-দোকান। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে রেল উড়ালপুলের নীচে বসা বিক্রেতাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে তার মধ্যেও বিভিন্ন পাড়ায় অনেককে রাস্তার পাশে আড্ডা জমাতে দেখা গিয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও বাসিন্দাদের একাংশ সচেতন হচ্ছেন না বলে বারবারই অভিযোগ উঠছে। সোমবার জেলায় ৪৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। শুধু বর্ধমান শহরেরই সাত জন আক্রান্ত ও এক জনের মৃত্যু হয়েছে সে দিন। তার পরেও এ দিন সকালে নীলপুর, আলমগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা, দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায় কিছু লোকজনকে।

Advertisement

মেমারির সাতগেছিয়া বাজার এলাকায় সুনসান রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

অন্য বছর ২৮ জুলাই কালনায় নকশাল বন্‌ধ হয়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন। কালনা শহর থেকে নানা বাসে তাঁরা এই দিনটিতে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে চলে যান। কিন্তু এ বার তা হয়নি। আজ, বুধবার ‘লকডাউন’ থাকায় মঙ্গলবার মুদির দোকান, আনাজ ও মাছের বাজার বসেছিল। বাজারে ভিড় করেন অনেক ক্রেতা। তবে বেলা বাড়তেই হ্যান্ড-মাইক নিয়ে প্রচারে নামে পুলিশ। সকাল ১১টার পরে দোকানপাট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান কালনা পুরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগ। তবে এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদও শহরের তেঁতুলতলা মোড়ে ছানাপট্টি খোলা ছিল বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement