West Bengal Lockdown

নির্দেশ সত্ত্বেও বাজার খোলা, ‘বিভ্রান্তি’

মেমারি শহরের বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ০৮:০৪
Share:

সকাল সাড়ে ১০টার পরেও খোলা বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া বাজার। ছবি: উদিত সিংহ

দোকান খোলা ও বাজার নিয়ন্ত্রণের জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকা কার্যত ‘খাতায়-কলমে’ই থেকে গেল। বুধবার বিসি রোড, জিটি রোডের দু’ধারের দোকানই খোলা ছিল। সময়সীমার আগে ও পরে বাজারও চলে পুরোদমে। মাছ, আনাজ বাজারেও ভিড় উপচে পড়ছিল অন্য দিনের মতোই। তবে বিকেল ৫টার পরে, পুলিশ শহরের সব দোকান বন্ধ করার জন্য বিশেষ অভিযান চালায়। সন্ধ্যায় রাস্তাঘাট ছিল শুনশান।

Advertisement

এ দিনই মেমারি শহরের বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির সঙ্গে বসে মেমারির পুরপ্রশাসক স্বপন বিষয়ী একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সে সূত্র ধরেই জেলা প্রশাসন মেমারি পুরশহরের জন্য নির্দেশিকা দিয়েছেন। সেখানে আনাজ ও মাছের বাজার (পাইকারি) সকাল ৭টা পর্যন্ত, খুচরো বাজার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ও অন্যান্য দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ফল-ফুলের বাজার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। হোটেল ও রেস্তরাঁ দু’দফায় খুলতে হবে ব্যবসায়ীদের। প্রথম ধাপে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত, দ্বিতীয় ধাপে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মালপত্র ওঠানো-নামনো বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।

বর্ধমান শহরে ভিড় কমানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে বিসি রোড-জিটি রোডের দু’ধারে দোকানগুলি আলাদা আলাদা দিনে খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ দিন অবশ্য দেখা যায়, নির্দেশিকা ‘অমান্য’ করে সব দোকানই খোলা ছিল। জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরির দাবি, “জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। আমরা জেলাশাসকের নির্দেশকে সব সময় মান্যতা দিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে কোন দিক কবে খোলা থাকবে, কোন দিক বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে একটা বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সে জন্য অনেক দোকান খোলা ছিল। আমরা জেলাশাসকের কাছে সব দিন নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খুলে রাখার দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

রানিগঞ্জ বাজারে ফলের দোকানগুলি পুলিশ বেলা ১১টার মধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছিল। মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁদের দোকান সকালের দিকে খোলার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুধ নিয়ে সকালেই চলে আসেন বিক্রেতারা। দোকান না খুললে দুধ নেওয়া যাবে না। তাতে সবার ক্ষতি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবিগুলি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ দিন রাতের দিকে দোকান খোলার সময়সীমা জানিয়ে নতুন সংশোধনীও বার হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি’ থাকায়, বুধবার সে ভাবে অভিযান চালানো হয়নি। তবে আজ, বৃহস্পতিবার কড়াকড়ি করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement