West Bengal Lockdown

মাস্ক, হাতশুদ্ধি বানিয়ে স্বনির্ভর

কালনার ‘মা মহিষমর্দিনী মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির লিমিটেড’-এর সদস্যেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’ তৈরি শুরু করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:১০
Share:

চলছে মাস্ক তৈরি। নিজস্ব চিত্র

ওঁরা কেউ ছিলেন তাঁতশ্রমিক, কেউ বিড়ি শ্রমিক, কেউ বা দর্জির কাজ করতেন। ‘লকডাউন’-এর জেরে স্বাভাবিক কাজ বন্ধ গিয়েছে তাঁদের। পরিস্থিতি বুঝে বিকল্প কাজ খুঁজে নিয়েছেন তাঁদের অনেকেই। কালনার ‘মা মহিষমর্দিনী মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির লিমিটেড’-এর সদস্যেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’ তৈরি শুরু করেছেন। উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা রয়েছে ভিন্‌ জেলাতেও।

Advertisement

গোষ্ঠীর সদস্যেরা জানিয়েছেন, ‘লকডাউন’ পর্বে প্রত্যেকেরই আয় বন্ধ হয়ে যায়। ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে সঞ্চয়ের বেশির ভাগও শেষ হয়ে যায়। তখনই বাজারে ব্যাপক ‘মাস্ক’ এবং ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর চাহিদা লক্ষ্য করেন তাঁরা। এক দিকে, স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে যুক্ত মানুষজন ‘মাস্ক’ পাচ্ছিলেন না। আবার কোথাও কোথাও শুরু হয়েছিল কালোবাজারি। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের দর্জির কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরা প্রথমে এগিয়ে আসেন ‘মাস্ক’ তৈরির কাজে। পদ্ধতি মেনে ‘মাস্ক’ তৈরি শুরু করেন তাঁরা। অন্য সদস্যেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন ‘স্যানিটাইজ়ার’ তৈরির কাজ। গোষ্ঠীর সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় মহকুমা প্রশাসন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে হাজারটি ‘মাস্ক’ তৈরি করছেন তাঁরা। নরম কাপড়ের মাস্ক প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। অন্য দিকে, ‘স্যানিটাইজ়ার’ লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে পাঁচশো টাকায়। কালনার দু’টি ব্লক ছাড়াও ওই গোষ্ঠীর তৈরি ‘মাস্ক’ এবং ‘স্যানিটাইজ়ার’ যাচ্ছে পানাগড়, বর্ধমান সদর, হুগলিতেও।

গোষ্ঠীর সম্পাদক মৃদুলা ধর বলেন, ‘‘চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের বদলে ফেললে যে ভাল রোজগার করা যায়, এ বারের পরিস্থিতি তা শিখিয়ে দিয়ে গেল আমাদের।’’ গোষ্ঠীর তরফে দুলাল ধরও বলেন, ‘‘এখনও প্রচুর চাহিদা রয়েছে মাস্ক এবং হাতশুদ্ধির। যে মেয়েরা লকডাউনের পরে, চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, এখন তাঁরা বাড়িতে বসে ভাল রোজগার করছেন।’’

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement