Crop Insurance

শস্যবিমা করানোয় প্রচার, প্রশ্নে ভাগচাষিরা

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিমা একটি বেসরকারি ‘এজেন্সি’র মাধ্যমে করানো হয়। সেই এজেন্সি ট্যাবলো, মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২২
Share:

ট্যাবলোয় প্রচার। নিজস্ব চিত্র

‘বিশ্ব মৃত্তিকা’ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জেলা কৃষি দফতরের উদ্যোগে শস্যবিমার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রচার শুরু হল। তবে ভাগচাষিরা কী ভাবে এই বিমার আওতায় আসবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিমা একটি বেসরকারি ‘এজেন্সি’র মাধ্যমে করানো হয়। সেই এজেন্সি ট্যাবলো, মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রবি শস্য এবং ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খরিফ শস্যের জন্য বিমার আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। প্রাকৃতিক কারণে ফসলের ক্ষতি হলে এই বীমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। এর জন্য কৃষকদের কোনও টাকা দিতে হয় না। প্রতি মাসে বিমার টাকা রাজ্য সরকার দেয়।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে রবিশস্য হিসেবে সর্ষে, মুসুর এবং গম বিমার জন্য অনুমোদিত। জেলায় আটটি ব্লকে চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে গম, ৩,০০০ হেক্টর জমিতে সর্ষে ও ২,২০০ হেক্টর জমিতে মুসুর চাষ হয়। ২০২২-এ জেলায় প্রায় কুড়ি হাজার জন কৃষক রবি শস্যবিমার জন্য আবেদন করেছিলেন।

Advertisement

যদিও কৃষক সভার জেলার সদস্য মলয়কান্তি মণ্ডলের দাবি, এই জেলার বেশির ভাগ জমিতে ভাগচাষিরা চুক্তির ভিত্তিতে চাষ করেন। এ দিকে নিজে জমির মালিক না হলে, শস্য বিমা পাওয়া যায় না। চুক্তির ভিত্তিতে চাষ হওয়ায়, জমির মালিকেরা আবেদনপত্র পূরণ করেন না। তার জেরে ভাগচাষিরা ক্ষতিপূরণের সুযোগ পান না। ভাগচাচিদের শস্যবিমার আওতায় না আনলে, এই জেলায় কৃষি ক্ষেত্রে কোনও লাভ হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক কৃষি অধিকারিক বলেন, “ চলতি বছরে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূল থাকায়, অনেক ভাল চাষ হবে। এর জেরে রবি শস্যবিমা আবেদনের সংখ্যাও বাড়বে। সেই লক্ষ্যে জোরদার প্রচার চলছে। পাশাপাশি, ভাগচাষিদের বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement