পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে ডুবুরডিহি সেতুতে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়খণ্ড সীমানায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে ডুবুরডিহি সেতুর ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষার কাজ শুরু হল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। এক সপ্তাহ ধরে তা চলার কথা। এই পরীক্ষার ফলাফল জানার পরে, সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান আধিকারিকেরা।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ মাস ধরে এই সেতুর কলকাতার দিকে যাতায়াতের লেনটি বন্ধ রয়েছে। কারণ, গত বছর ১৯ অক্টোবর সেতুর ৫ নম্বর স্তম্ভটিতে বড় রকমের ফাটল ধরা পড়ে। সে রাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রুট পেট্রোলিং দলের সদস্যেরা ফাটলটি দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই রাস্তায় যান চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়। তার পর থেকে ধানবাদের দিকে যাওয়ার লেনটি দিয়েই দু’দিকের যান চলাচল চলছিল। মাস ছয়েক আগে সেতুর ওই ফাটল ধরা অংশ মেরামত করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে এই কাজ তদারকির জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল কনস্ট্রাকশন বিভাগ এবং খড়্গপুর আইটিআই-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়।
গত জুনে সেতু মেরামতির কাজ শেষ হওয়ার পরেও, কলকাতার দিকের লেনটি খুলে দেওয়া হয়নি। একটি লেন দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চলাচল করতে থাকায় সেতুর দু’দিকে জট পেকেছে, মাঝেমাঝে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জেলা প্রশাসনও। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, যান চলাচল চালু করার আগে সেতুর ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা জরুরি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বারোয়াড্ডার প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষার ফলাফল ঠিক থাকলে, দ্রুত লেনটি খোলা হবে।’’
এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, বড়-বড় সিমেন্টের ‘বিম’ ট্রাকে তুলে সেতুটির মেরামত করা অংশে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। ক্রেনের সাহায্যে বিশেষজ্ঞেরা সেতুর নীচে গিয়ে ভারবহন ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করছেন। বুধবার থেকে টানা সাত দিন বিশেষজ্ঞেরা এ পদ্ধতিতে দিনভর সেতুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটিতে যান চলাচল শুরু হলেও কলকাতার দিকের লেনে ডান দিকের ফুটপাথের ২৫ ফুট অংশ দিয়ে হাঁটাচলা করা যাবে না। কারণ, এই অংশেই রয়েছে ৫ নম্বর স্তম্ভ, যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছিল। কংক্রিটের দেওয়াল তুলে এই অংশটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।