water logging

Water log: বেহাল রাস্তা, জল ঠেলে হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স

সংস্কারের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সেগুলি এখন জলে ডুবে রয়েছে। পাশের নিকাশি নালাও বেহাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৬:৩০
Share:

বৃষ্টি হলেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তার এমনই অবস্থা হয়। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় হাঁটু সমান জল। গর্তে চাকা পড়ে হেলে যাওয়ায়, কোনও রকমে সামলে রোগী নিয়ে কাছের হাসপাতালে ঢুকছে অ্যাম্বুল্যান্স। রোগী চাপিয়ে টলমল করতে করতে জল পেরিয়ে হাসপাতাল অভিমুখে যাচ্ছে টোটো। জলমগ্ন রাস্তায় গর্ত বুঝতে না পেরে অনেক সময় উল্টেও যাচ্ছে টোটো। বর্ধমান শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির রাস্তার এমনই হাল বলে দাবি স্থানীয়দের। এই রাস্তা ধরেই হাসপাতালে যেতে হয়। স্থানীয়দের দাবি, সংস্কারের জন্য রাস্তা কাটা হয়েছিল। তার পরে, কাজ না হওয়ায় রাস্তা কার্যত মরণফাঁদ হয়ে রয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাস্তার হাল আগে আরও খারাপ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমত। এলাকাবাসীর দাবি মেনে গত বছরের ডিসেম্বরে রাস্তা সংস্কার শুরু করে বর্ধমান পুরসভা। কিছুদিন পরে, টেন্ডার-সমস্যায় তা বন্ধ হয়ে যায় বলে পুরসভা সূত্রে খবর। সে সমস্যা মিটিয়ে মাসখানেক আগে ফের শুরু হয়েছে কাজ। কলেজ মোড়ের দিকে কিছুটা কাজ হলেও, বাকি অংশের কাজ এখনও হয়নি। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। জলমগ্ন রাস্তা এখন চলাচলের অযোগ্য, দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।

বর্ধমানের রাজ কলেজ মোড় থেকে ওই রাস্তা দিয়েই যাওয়া যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কালনা বা কাটোয়ার দিক থেকে আসা অ্যাম্বুল্যান্সও ওই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে ঢোকে। এই রাস্তাতেই রয়েছে রাজ কলেজ। সংস্কারের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সেগুলি এখন জলে ডুবে রয়েছে। পাশের নিকাশি নালাও বেহাল। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়রা রাস্তার হাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

Advertisement

অ্যাম্বুল্যান্স চালক শেখ সানি বলেন, ‘‘রাস্তা অনেকদিন ধরেই খারাপ ছিল। মাঝে, ‘কাজ চলছে’ বলে রাস্তায় বোর্ড দেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার। কিন্তু হঠাৎই তা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে রাস্তা আরও বেহাল হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই যাতায়াতের অযোগ্য হয় রাস্তা। রোগী নিয়ে যাতায়াত বেশ চাপের। কোথায় গর্ত, বোঝা যায় না। প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হয়।’’ রাজু শর্মা নামে এক টোটোচালক বলেন, ‘‘রাতে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত একেবারেই করা যায় না। অথচ, এটিই হাসপাতাল যাওয়ার অন্যতম পথ। দ্রুত রাস্তা ঠিক করা উচিত।’’ বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘বেশ কিছু কারণে রাস্তা সংস্কারে দেরি হয়েছে। রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement