Durgapur

জলের সমস্যা ‘মিটবে’ আজ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিসনগরে রাস্তার কলের সামনে বালতি নিয়ে দুপুর থেকে লাইন পড়েছে। গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন নতুনপল্লি এলাকায় পুরসভার ট্যাঙ্কার আসতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share:

অম্বেডকর কলোনিতে এল জল। শুক্রবার বিকেলে। নিজস্ব চিত্র।

ভাঙা ৩১ নম্বর লকগেটের মেরামতের পরে, বৃহস্পতিবার রাতে জল আসে দুর্গাপুর ব্যারাজে। ব্যারাজ ভর্তি হয়ে ফিডার ক্যানালে জল ঢুকতে শুক্রবার দুপুর হয়ে যায়। বিকেলে ডিপিএলে জল আসে। তবে পুরসভা এলাকায় জল আসতে-আসতে আজ, শনিবার সকাল হয়ে যাবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিকে, এ দিনও শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলের জন্য হাহাকার নজরে এসেছে। গত কয়েকদিনের মতো পুরসভা ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে ফিডার ক্যানালের অনেকটাই ভর্তি হয়ে যায়। ডিপিএলের পাম্পিং স্টেশন প্রথমে থাকায় জল সবার আগে সেখানেই পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ জল তুলে শোধন করে তা তাপবিদ্যু্ৎকেন্দ্রে পাঠান। ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, ‘‘সব ঠিক থাকলে, শনিবার থেকে ফের ডিপিএলে উৎপাদন চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেলে টাউনশিপের কয়েকটি জায়গায় জল চলে আসে।’’ বাকি জায়গায় রাতের মধ্যে চলে আসবে বলে ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে। বিকেলে গ্যামন ব্রিজ ও অম্বেডকর কলোনিতে জল সরবরাহ হয়। এই সব এলাকার বাসিন্দারা জল আসায় খুশি।

কিন্তু দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্র চট্টোপাধ্যায় সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘ফিডার ক্যানালে জলের পরিমাণ এখনও যথেষ্ট নয়। বিপুল পরিমাণ জল তুলে তা শোধন করে ফাঁকা পাইপলাইন পূর্ণ করে পুর-এলাকায় জল পৌঁছতে শনিবার সকাল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।’’ ফলে, গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিসনগরে রাস্তার কলের সামনে বালতি নিয়ে দুপুর থেকে লাইন পড়েছে। গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন নতুনপল্লি এলাকায় পুরসভার ট্যাঙ্কার আসতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এ দিকে, বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া বৃহস্পতিবার রাতে ব্যারাজ পরিদর্শনের পরে অভিযোগ করেন, ‘‘পুরসভা বেছে বেছে নির্দিষ্ট জায়গা জল পাঠিয়েছে। কিন্তু বাসিন্দারা সংযম রেখে অপেক্ষা করেছেন।’’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্রবাবু।

এ দিন ব্যারাজ মোটামুটি ভর্তি হওয়ার পরে, বেলা ১১টায় ৩১ নম্বর লকগেটের সামনে ভাসমান গেট (‘ফ্লোটিং গেট’) লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৪ নম্বর গেটের কাছে রাখা ছিল ভাসমান গেটটি। সেটিকে ভাসিয়ে আনা হয় ৩১ নম্বর গেটের সামনে। এর পরে, তা নির্দিষ্ট কৌশলে ৩১ নম্বর গেটের সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ সে কাজ শেষ হয়। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘ফ্লোটিং গেট বসানোর ফলে ৩১ নম্বর লকগেটে জলের চাপ কার্যত আর পড়বে না। পরে সময় বুঝে সেটি বদলে ফেলার কাজ হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement