গৌরবাজারে রাস্তা অবরোধ বাসিন্দাদের। সোমবার সকালে। নিজস্ব চিত্র
সরস্বতী পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অশান্তি পাকল ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার গৌরবাজার এলাকায়। রবিবার রাতে গৌরবাজারের বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে মাধাইপুর এলাকার বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের গোলমাল বেধে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ওই খাদানের লোকজন তির-ধনুক নিয়ে গৌরবাজারের বাসিন্দাদের উপরে হামলা চালায়। তাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে গৌরবাজারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ থামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ গৌরবাজারের বাসস্ট্যান্ড পাড়ার যুবকেরা সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন করতে যান এলাকারই একটি পুকুরে। তাঁদের অভিযোগ, শোভাযাত্রা চলাকালীন হঠাৎই মাধাইপুরের বালি খাদানের বেশ কিছু লোকজন তির-ধনুক ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গৌরবাজারে জড়ো হয়। তাদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় স্থানীয় যুবকদের। অভিযোগ, খাদানের লোকজনের ছোড়া তিরে এক যুবক আহত হন। এমনকি, শূন্যে গুলিও ছোড়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর আগে বালির গাড়ি থেকে চাঁদা চাওয়া নিয়ে অশান্তি তৈরি হয় ওই যুবকদের সঙ্গে। তার জেরেই এ দিন খাদানের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ গৌরবাজারের বাসিন্দাদের। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ডিসেম্বরে এলাকায় একটি বালির গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত জনতা সাতটি বালির গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আক্রোশও ছিল বালি কারবারিদের। পরিকল্পনা করেই তারা এই হামলা চালায় বলে দাবি এলাকাবাসীর একাংশের।
সোমবার সকালে গৌরবাজার বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের সামনেই বিক্ষোভকারীরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।’’ পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস পাওয়ার পরে বিক্ষোভ থামে।
পুলিশ জানায়, গোলমালে চার জন আহত হয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ।