যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম দেবাই সরেন, সোম মুর্মু, মঙ্গল হেমব্রম ও মঙ্গল হেমব্রম। সোমের বাড়ি গলসি থানার লোয়াপুরে। বাকিদের বাড়ি আউশগ্রাম থানার যদুগড়িয়ায়। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতদের শনাক্তকরণের জন্য আদালতে টিআই প্যারেডের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে টিআই প্যারেড করানোর জন্য নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। সোমবার সকাল ১০টায় বর্ধমান সংশোধনাগারে ধৃতদের টিআই প্যারেড হবে। ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। নির্যাতিতার বয়ান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করানো জন্য পুলিশ যে আবেদন করেছে, তা মঞ্জুর করেছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৮ মার্চ আবার আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিস জানিয়েছে, বছর পঁচিশের ওই আদিবাসী যুবতীর বাড়ি আউশগ্রাম থানা এলাকায়। বুধবার দুপুরে তিনি গ্রামের হুজুরবাগানে শুকনো পাতা কুড়াতে যান। সেই সময় চার যুবক মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর যুবতীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই পড়ে ছিলেন যুবতী। বেলা ৩টে নাগাদ তিন মহিলা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। পরিবারের লোকজন তাঁকে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে যুবতী সেখানেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছে।
ঘটনার সময় যুবতীর পরনের পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পোশাকে রক্তের দাগ মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। বাজেয়াপ্ত করা পোশাক ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে। ঘটনার বিষয়ে যুবতীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে গণধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা।