নিজস্ব চিত্র
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিহারের সমস্তিপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১ জুন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আউশগ্রাম থানার বড়া চৌমাথা মোড়ে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহটি নয়নজুলিতে পড়েছিল। প্রথমে কোভিড রোগীর মৃতদেহ মনে হলেও পরে খুন বলে বুঝতে পারে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মৃতের ছবি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। সেই সূত্রেই এক ব্যক্তি তদন্তকারীদের জানান যে তিনি ওই ব্যক্তিকে গুসকরায় বিট হাউসের কাছে এক হোটেলে দেখেছিলেন। এর পর পুলিশ ওই বিট হাউস, কয়রাপুর মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাতেই একটি সন্দেহজনক গাড়ির গতিবিধি পুলিশের চোখে পড়ে।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই গাড়িটির মালিক বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই বিহারের সমস্তিপুর জেলার বিথান এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়িটিকে আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ খালিদ আনোয়ার ওরফে জুগনু। তাঁর বাড়িও বিথান এলাকাতেই। প্রাথমিক তদন্তে উঠে জানা গেছে, মৃত আনোয়ার ওই এলাকার একাধিক ভুট্টা ব্যবসায়ীর থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনোয়ার সম্ভবত গাঁজা ও বেআইনি অস্ত্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে, আরও আরও নানা দিক খতিয়ে দেখছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, তদন্তের কারণে ধৃতদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে।